স্বাধীনতার পরে এই প্রথম ভারতে কোনও মহিলার ফাঁসি দেওয়া হবে। আমরোহার বাসিন্দা শবনমকে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এ জন্য মথুরা জেলে প্রস্তূতি শুরু হয়েছে। নির্ভয়ার দোষীদের ফাঁসি দেওয়া পবন জল্লাদ দুবার ফাঁসিঘর ঘুরে গিয়েছেন।
শবনমের বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রেমিকের সঙ্গে মিলে নিজের পরিবারের ৭ জন সদস্যকে কুঠার দিয়ে হত্যা করেছে। ২০০৮ সালে এই ঘটনা হয়। এই মামলায় নিম্ন আদালত থেকে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত তাঁর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছে।
শবনম রাষ্ট্রপতির কাছে দয়া প্রার্থনা করলেও রাষ্ট্রপতি ভবনও তাঁর আবেদন নাকচ করে দিয়েছে। এই কারণেই ওই মহিলা স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে প্রথম নারী হবেন যাকে ফাঁসি দেওয়া হবে।
ফাঁসি দেওয়ার জন্য বিহারের বক্সার থেকে দড়ি নিয়ে আসা হয়েছে। ইতিমধ্যে পবন জল্লাদ এসে ফাঁসিঘরে ঘুরে গেছে।
মথুরায় মহিলাদের জন্য ফাঁসিঘর প্রায় ১৫০ বছর আগে নির্মিত হয়েছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেখানে কাউকে ফাঁসি দেওয়া হয়নি। শবনমকে ফাঁসি দেওয়ার বিষয়ে মথুরা জেলের অধ্যক্ষ শৈলেন্দ্র কুমার মৈত্রেয় বলেন, যে ফাঁসির তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি বা কোনও আদেশ আসে নি। তবে জেল প্রশাসন প্রস্তূতি শুরু করেছে। মৃত্যুর পরোয়ানা জারি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শবনমকে ফাঁসি দেওয়া হবে।