scorecardresearch
 

Kaliachak Police Firing : TMC-র বিজয় মিছিল থেকে হামলা, পুলিশের পাল্টা গুলি চালানোর অভিযোগ, তোলপাড় কালিয়াচক

Kaliachak Police Firing: এই ঘটনা ঘিরে এলাকায় তুমুল উত্তেজনা ছড়াল। তবে পুলিশ গুলি চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

Advertisement
বন্দুক উঁচিয়ে ছুটছে পুলিশ। শুক্রবার মালদার কালিয়াচকে। ছবি: মিল্টন পাল বন্দুক উঁচিয়ে ছুটছে পুলিশ। শুক্রবার মালদার কালিয়াচকে। ছবি: মিল্টন পাল
হাইলাইটস
  • তৃণমূলের বিজয় মিছিল ঘিরে উত্তেজনা
  • পুলিশর বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ
  • ঘটনাটি ঘটেছে মালদার কালিয়াচক থানা এলাকার কালিয়াচকের এক নম্বর ব্লকে

তৃণমূলের বিজয় মিছিল ঘিরে উত্তেজনা। পুলিশর বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার কালিয়াচক থানা এলাকার কালিয়াচকের এক নম্বর ব্লকে।

এই ঘটনা ঘিরে এলাকায় তুমুল উত্তেজনা ছড়াল। তবে পুলিশ গুলি চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তৃণমূল দাবি করেছে, কেউ দোষ করে থাকলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে বিঁধেছে বিজেপি।

তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ
জানা গিয়েছে, প্রধান ছিলেন আমিরুদ্দিন শেখ। আমিরুদ্দিনের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনে তৃণমূলর অপর গোষ্ঠী। কালিয়াচকের সুলতানগঞ্জ এলাকা থেকে মিছিল বের হয়। শুক্রবার ছিল কালিয়াচক ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান গঠনের দিন।

Malda_Kaliachak_TMC_inner_clash_allegedly_attack_on_Police_they_fired_sparks_tension_abk_three

প্রধান গঠনের পর তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা বিজয় মিছিল করছিল। অভিযোগ সেই সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে পটকা ছোঁড়ে মিছিল থেকে।

ঘটনায় পুলিশকর্মী এসআই নিত্যানন্দ সাহা আহত হয়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে কালিয়াচক থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। এরপরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি চালায়।

জয়ীর সমর্থকদের বয়ান
জয়ী তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের এক সমর্থক জানান মিছিল করেছিলাম। কলেজ মোড়ে পার হচ্ছিলাম। পুলিশ এসে আমাদের সাইড হয়ে যাও। আমরা সাইড হয়ে যাই। পটকা চলে। আর তা লাগে পুলিশের।

তখন গুলি চার্জ করায়। আমার মামাকে বুকে বন্দুক ধরে বলে গুলি মেরে দেব। পুলিশ গুলি চালিয়েছে। ৬-৭ রাউন্ড গুলি চালিয়েছে। হতে পারে পুলিশকে চাপ দিয়ে আমাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে।

তৃণমূলের বার্তা
তৃণমূল নেতা শুভময় বসু বলেন, আইনশৃঙ্খলার আবনতি করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ ভুল করতে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রশাসিনক ভাবে তার তদন্ত করে দেখা হবে। এই সব ঘটনা কাম্য নয়। পুলিশ বা আমাদের কোনও কর্মী জড়িত থাকে, তা হলে হয় প্রশাসনিক বা আইনি শাস্তি পাবে।

Advertisement

বিজেপির তোপ
এই ঘটনায় তৃণমূলের সমালোচনা করতে ছাড়েনি বিজেপি। সেখানকার নেতা অজয় গাঙ্গুলি বলেন, কালিয়াচকে জাতীয় সড়কের ওপর পুলিশ বন্দুক হাতে দাপাদাপি করছে। প্রশাসনের লোক তারা দাপাদাপি করছে। যারা বিক্ষুব্ধ মুষ্টিমেয়, তারা দাপাদাপি করছে।

তাঁর দাবি, একটা ব্যবসায়িক এলাকা, সেটা বন্ধ হতে যাচ্ছে যেন। কালিয়াচকের মানুষ আতঙ্কিত। ব্যবসায়ী আতঙ্কিত। যারা লুঠ করছে, তাদের জন্য কালিয়াচক যেন বন্ধ না হয়ে যায়। দুষ্কৃতীদের জন্য কালিয়াচক যেন স্তব্ধ না হয়ে যায়। সবাই যে তৃণমূল করে, সবাই যে কুখ্যাত আসামী তেমন তো না। অনেক সাধারণ মানুষও আছে।ন তারা যাতে জীবনযাপন করতে পারেন নির্বিঘ্নে, সেই আবেদন করছি প্রশাসনের কাছে।

অস্বীকার পুলিশের
যদিও জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া জানান, গুলি চালানোর কোনো ঘটনা ঘটেনি। একটু উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

পুলিশি টহল
এই ঘটনার জেরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিত মোকাবিলায় সেখানে পুলিশি টহলদারি চালানো হয়। দীর্ঘক্ষণ চাপা উত্তেজনা ছিল। মানুষের মনে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।

 

Advertisement