গঙ্গা নদীতে বন্ধ করতে হবে লাশ ফেলা। বিহার এবং উত্তরপ্রদেশকে রবিবার এই নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। পাশাপাশি আরও জানানো হয়েছে, নিরাপদে এবং সম্মানের সঙ্গে মরদেহের শেষকৃত্য সংস্কার করতে হবে। গত কয়েকদিন উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারের ছবি দেখে শিউরে উঠেছে দেশ।
সমালোচনা, নিন্দা কোনও কিছুই বাদ নেই। এর পাশাপাশি আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকদের একাংশ। কারণ এ ভাবে নদীতে লাশ ভাসিয়ে দেওয়া বিজ্ঞানসম্মত নয়।
দেখা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারের বিভিন্ন অংশে গঙ্গায় ভেসে যাচ্ছে। একের পর এক দেহ ভেসে যেতে দেখা গিয়েছে। ওই দুই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সেই ছবি দেখেছেন মানুষ। এর ফলে তীব্র আলোড়ন তৈরি হয়েছে দেশে।
গঙ্গা বয়ে লাশ বাংলায় ঢোকা নিয়ে সতর্ক রাজ্য। এ ব্য়াপারে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমন কোনও লাশ দেখা গেলে তড়িঘড়ি তা জল থেকে তুলে ফেলার ব্যবস্তা করা হয়েছে। এ নিয়ে মানুষের মনে আতঙ্ক ছড়িয়ে।
চিকিৎসক থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এমন ঘটনায় আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। অন্যদিকে, সহ-নাগরিকার ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। দেশে আলোড়ন তৈরি হয়েছে।
মানুষের প্রশ্ন, যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে শেষকৃত্য সম্পন্ন করার ক্ষমতাটুকু নেই কারও? এভাবে মরদেহ ভাসিয়ে দিতে হবে? এর দায় কার? এমনই হাজারো প্রশ্ন তুলেছেন তারা।
চলতি মাসের ১৫ এবং ১৬ তারিখে পর্যালোচনা বৈঠকে বসে কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রক। সেখানে এ ব্যাপারে আলোচনা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, নমামি গঙ্গে প্রকল্পে রাজ্যগুলিকে এই ধরনের কাজ করতে বারণ করা হয়েছে।
Sh. Pankaj Kumar, Secretary-@MoJSDoWRRDGR, along with Sh. @RajivRanjanMis5, DG-NMCG, chaired meeting on proper disposal of unidentified dead bodies/corpses found in Ganga or its tributaries. Meeting was attended by officials from UP Bihar govt, Chairman, CWC & @CPCB_OFFICIAL. pic.twitter.com/XTPg5D0fyX
— Namami Gange | #IndiaFightsCorona (@cleanganganmcg) May 16, 2021Advertisement
গঙ্গায় মরদেহ ভাসানো, ফেলে দেওয়া থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে নিরাপদ ভাবে এবং যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে মরদেহের শেষকৃত্য সংস্কার করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: নেওড়া ভ্য়ালিতে নয়া প্রজাতির ফড়িংয়ের সন্ধান পেলেন বাঙালি পরিবেশবিদ
এই ঘটনায় তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কেন্দ্র। আংশিক পোড়ানো বা পচাগলা দেহ গঙ্গা এবং তার শাখা নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র একদমই অনুচিত এবং অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলে মনে করেছে।
কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রন পর্ষদ বা সেন্ট্রাল পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ড (সিপিসিবি)-কে জলের মান পরীক্ষা এবং তা রক্ষার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি এই ঘটনার বিশ্লেষণ করতেও বলা হয়েছে।
রাজ্যের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদগুলিকে জলের মান নিয়মিত পরীক্ষা করতে বলা হয়েছে। এই কাজে স্বাস্থ্য দফতরের সাহায্য নিতে বলা হয়েছে।
এর আগে ন্যাশনাল মিশন ফর ক্লিন গঙ্গার ডিরেক্টর জেনারেল রাজীরঞ্জন মিশ্র জেলাশাসকদের নির্দেশিকা জারি করেন। জেলাশাসকেরা গঙ্গা নদী সংক্রান্ত জেলা কমিটির প্রধান। এর পরের দিন চিঠি পাঠানো হয় মুখ্যসচিবের কাছে। যাতে এই ধরনের কাজ বন্ধ করা যায়।