scorecardresearch
 

Corona Second Wave : কাঁপছে দিল্লি! একই হাসপাতালের ৮০ চিকিৎসক আক্রান্ত, উদ্বেগ

জানা গিয়েছে, দিল্লির সরোজ হাসপাতালে সব ওপিডি পরিষেবা এখন বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেখানে ৮০ জন চিকিৎসকের করোনা পরীক্ষার ফল পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে ১২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

Advertisement
দিল্লির সরোজ হাসপাতালের ৮০ জন চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত (প্রতীকি ছবি) দিল্লির সরোজ হাসপাতালের ৮০ জন চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত (প্রতীকি ছবি)
হাইলাইটস
  • দিল্লির সরোজ হাসপাতালে সব ওপিডি পরিষেবা এখন বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে
  • সেখানে ৮০ জন চিকিৎসকের করোনা পরীক্ষার ফল পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে
  • তাঁদের মধ্যে ১২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বাকিরা রয়েছেন হোম কোয়ারেন্টিনে

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ যেন কাঁপিয়ে দিচ্ছে দেশকে। দিল্লিতেও একই অবস্থা। এর মধ্যে দিল্লির সরোজ হাসপাতালে করোনার বিস্ফোরণ হয়েছে যেন। খবর পাওয়া গিয়েছে, হাসপাতালে মোট ৮০ জন চিকিৎসক করোনা পজিটিভ হয়েছেন।

আর সেখানে একজন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ফলে। জানা গিয়েছে, দিল্লির সরোজ হাসপাতালে সব ওপিডি পরিষেবা এখন বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সেখানে ৮০ জন চিকিৎসকের করোনা পরীক্ষার ফল পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে ১২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বাকিরা রয়েছেন হোম কোয়ারেন্টিনে।

করোনা সংক্রমনের ফলে ওই হাসপাতালে সিনিয়র সার্জেন এ কে রাওয়াতের মৃত্যু হয়েছে। কোনও হাসপাতালে একসঙ্গে এত জন চিকিৎসকের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ বাড়িয়েছেন। দেশের সঙ্গে দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা করছে দিল্লিও।

আরও পড়ুন: নেওড়া ভ্য়ালিতে নয়া প্রজাতির ফড়িংয়ের সন্ধান পেলেন বাঙালি পরিবেশবিদ

দেশে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। তার ধাক্কা পৌঁছেছে রাজধানী দিল্লিতে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি রাজ্য লকঢাউনের পথে হেঁটেছে। বাংলায় চালু আংশিক লকডাউন। বন্ধ রাখা হয়েছে লোকাল ট্রেনের পরিষেবা।

সেখানে বেড়েই চলেছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যায। একই সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও এই কারণে দিল্লিতে গত তিন সপ্তাহ ধরে লকডাউন চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।

আর তা আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। দিল্লিতে এখন অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৮৬ হাজারের কাছাকাছি। গত ২৪ ঘন্টায় সেখানে আক্রান্ত হয়েছে ১৩ হাজারের বেশি। এবং ২৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।

ফলে বিভিন্ন হাসপাতালে ওপর চাপ বাড়ছে। মানুষকে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে নাজেহাল হতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। দিল্লির বেশ কয়েকটা হাসপাতালের শয্যা অক্সিজেন এবং অন্যান্য চিকিৎসাও অন্যান্য উপকরণের সমস্যা দেখা দিয়েছে।

Advertisement

এদিকে, এইমস-এর অধিকর্তা রণদীপ গুলেরিয়া জানিয়েছেন, ভারত একটা বড়সড় দেশ। এখানে এক এক সময়ে করোনার সংক্রমণ চূড়ান্ত জায়গায় পৌঁছবে। দেশের পশ্চিম অঞ্চলে করোনার সংক্রমণের ঘটনা কিছুটা কমেছে। মহারাষ্ট্রে এখন চূড়ান্ত জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে বলে মনে হয়।

তিনি জানান, দিল্লি এবং আশপাশের কথা যদি বলি, তা হলে সেখানে সংক্রমণ তুঙ্গে পৌঁছতে আর খানিকটা সময় লাগবে। সম্ভবত এই মাসের মাঝামাঝি তা হবে।

পূর্ব ভারতে করোনা সংক্রমণ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। রণদীপ গুলেরিয়া জানান, অসম এবং বাংলার মতো রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। এ ব্যাপারে সতর্ক হওয়ার দরকার রয়েছে।

 

Advertisement