scorecardresearch
 

'বিদায়, সময় শেষ হয়ে এসেছে', বক্তৃতার সময় এ কথা বলেই এলিয়ে পড়লেন অমৃতসরের কৃষক নেতা

তখন তিনি এক সভায় বক্তৃতা করছিলেন। বক্তৃতার সময় তিনি থমকে যান। আর তখনই হৃদরোগে আক্রান্ত হন। তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়। তবে মাঝপথেই তাঁর মৃত্যু হয়।

Advertisement
কীর্তি কিষান ইউনিয়নের প্রধান মাস্টার দাতার সিং হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন কীর্তি কিষান ইউনিয়নের প্রধান মাস্টার দাতার সিং হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন
হাইলাইটস
  • প্রতিবাদ সভায় বক্তৃতা দেওয়ার সময় মৃত্যু হল এক কৃষক নেতার
  • সোমবার মর্মান্তিক এই ঘটনা অমৃতসরের
  • সেখানে কীর্তি কিষান ইউনিয়নের প্রধান মাস্টার দাতার সিং হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন

প্রতিবাদ সভায় বক্তৃতা দেওয়ার সময় মৃত্যু হল এক কৃষক নেতার। সোমবার মর্মান্তিক এই ঘটনা অমৃতসরের। সেখানে কীর্তি কিষান ইউনিয়নের প্রধান মাস্টার দাতার সিং হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন।

তখন তিনি এক সভায় বক্তৃতা করছিলেন। বক্তৃতার সময় তিনি থমকে যান। আর তখনই হৃদরোগে আক্রান্ত হন। তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়। তবে মাঝপথেই তাঁর মৃত্যু হয়।

এদিন অমৃতসরের বিরসা বিহারের স্বাধীনতা সংগ্রামী উজাগর সিংয়ের স্মরণে এক সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই অংশ গ্রহণ করেছিলেন দাতার সিং। তার পরই এই ঘটনা। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। 

ওই সভায় তিনি বক্তৃতা করছিলেন। তখনই বলে ওঠেন, "বিদায়, আমার সময় শেষ হয়ে এসেছে"। আর এটুকু বলার পরেই তিনি বসে যান চেয়ারে। তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে দেখে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। কিন্তু কিছু করা যায়নি। তাঁর মৃত্যু হয়। 

জানা গিয়েছে, দাতার সিং দিন তিনেক আগে দিল্লির কৃষক অবস্থান মঞ্চ থেকে অমৃতসরে ফিরে এসেছিলেন। আর সেখানেও একটা কর্মসূচিতে। যোগ দেওয়ার কথা ছিল। এদিন তাঁকে মঞ্চে সম্বর্ধনা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার মাঝেই এই ঘটনা সব ওলটপালট করে দিল।

দাতার সেনের মৃত্যুতে অন্য কৃষকনেতা এবং তাঁর অনুগামীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাঁদের মতে, দাতার সিংয়ের অভাব কোনও দিনও পূরণ হবে না। তিনি আজীবন কৃষকদের হয়ে লড়াই করে এসেছেন। তাঁদের দাবি দাওয়ার হয়ে লড়েছেন। 

দাতার সিং কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরোধিতা করেছেন। সেই আইন প্রত্যাহার করার জন্য বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করেছেন। এ ব্যাপারে তিনি কেন্দ্রের কড়া সমালোচনা করেছেন। কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করে তিনি বলেছিলেন, কেন্দ্র কৃষকদের সমস্যার সমাধান না করে কৃষক নেতাদের মধ্যে বিভাজনের চেষ্টা করছে। সরকারকে তাঁর হুশিয়ার ছিল, যতক্ষণ না কৃষি আইন প্রত্যাহার করা হয়, ততক্ষণ কৃষকেরা নিজের বাড়ি যাবেন না।

Advertisement

 

Advertisement