আস্থাকে আতঙ্ক দিয়ে দমন করা যায় না। আতঙ্কের শক্তিতে তৈরি করা সাম্রাজ্য বেশিদিন টেকে না। শুক্রবার গুজরাতে এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। অনেকের ধারণা, তালিবান (Taliban)-দের এই বার্তা দিয়েছেন তিনি।
গুজরাত থেকে বার্তা
এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi) গুজরাতের সোমনাথ মন্দিরের এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন। সেখান থেকেই এই বার্তা দিয়েছেন। গত কয়েকদিন ধরে আফগানিস্তান (Afghanistan)-এ তালিবান-রাজ কায়েম হয়েছে। প্রবল আতঙ্কে আছেন সেখানকার মানুষ।
जो तोड़ने वाली शक्तियाँ हैं, जो आतंक के बलबूते साम्राज्य खड़ा करने वाली सोच है, वो किसी कालखंड में कुछ समय के लिए भले हावी हो जाएं लेकिन, उसका अस्तित्व कभी स्थायी नहीं होता, वो ज्यादा दिनों तक मानवता को दबाकर नहीं रख सकती: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) August 20, 2021
আস্থার জয় হবে
তিনি (PM Narendra Modi) বলেন, আস্থাকে কখনও আতঙ্ক দিয়ে কুচলে দেওয়া যায় না। সোমনাথ মন্দিরকে কয়েক বার ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এটাকেই লক্ষ্য করা হয়েছিল। তবে প্রতিবারই মন্দির তৈরি হয়ে যেত। এটা দুনিয়ার কাছে সবথেকে বড় উদাহরণ।
শক্তিশালী তিনিই, যিনি জোড়েন
নিজের বক্তৃতায় তিনি (PM Narendra Modi) বলেন, যে সব শক্তি ভাঙে, যে আতঙ্কের সাহায্য সাম্রাজ্য গড়ে তোলে, তারা কিছু সময়ের জন্য প্রবল শক্তিশালী হয়ে যেতে পারে। তবে সেই অস্তিত্ব কখনই স্থায়ী হয় না। তারা বেশিদিন মানবতাকে দমিয়ে রাখতে পারে না।
ভারত এখন অপেক্ষা করছে
ঘটনা হল ভারত সরকার এ ব্যাপারে সরাসির কোনও বিবৃতি দেয়নি। আফগানিস্তান তালিবানদের দখলে চলে যাওয়ার পর ভারত এখন মুখ খোলেনি। গোটা ঘটনার ওপর নজর রাখা হচ্ছে। এখন প্রধান কাজ হল, সে দেশে আটকে পড়া ভারতীয় নাগরিতকদের ফিরিয়ে আনা।
জয়শঙ্করের বক্তব্য
এর আগে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর রাষ্ট্রপুঞ্জের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। সেখানে তিনি বলেছেন, কয়েকটি দেশ আতঙ্কবাদের বিরুদ্ধে লড়াইকে দুর্বল করে দিতে চায়। এখন দুনিয়ার উচিত এ দিতে নজর দেওয়া। তিনি কারও নাম করেননি। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, তিনি পরোক্ষে আফগানিস্তানের তালিবান এবং পাকিস্তানকে নিশানা করেছেন।
ঘর শক্ত
আফগানিস্তানে ক্রমেই নিজেদের ঘর পাকা করছে তালিবান। সেখানে সরকার গড়ার পথে আরও এক কদম এগিয়ে গিয়েছে। তালিবান নেতা মোল্লা বরাদরের নেতৃত্বে ২০ বছর পর এই সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। কন্দাহারে তালিবানের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আজতক কথা বলেছে। সেখানে তারা আশ্বাস দিয়েছে, কোনও বদলা নেওয়া হবে না।