scorecardresearch
 

Rashtrapatni Sonia Gandhi Smriti Irani : 'Don't talk to me...' অধীর নিয়ে সংসদে সনিয়া-স্মৃতি তুমুল 'ঝগড়া'

Rashtrapatni Sonia Gandhi Smriti Irani Nirmala Sitharaman Amit Malviya: রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে নিয়ে কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরীর মন্তব্য নিয়ে সংসদে হট্টগোল হয়েছে। এই ঘটনায় কংগ্রেসকে কড়া নিশানা করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। এ সময় তিনি সোনিয়া গান্ধীকে এ ব্যাপারে ক্ষমা চাইতে বলেন। এই সময় কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও স্মৃতি ইরানির মধ্যে বাকবিতণ্ডাও হয়। এর পাশাপাশি সনিয়া তাঁকে বলেছেন, আমার সঙ্গে কথা বলবেন না। 

Advertisement
সনিয়া গান্ধী এবং স্মৃতি ইরানি সনিয়া গান্ধী এবং স্মৃতি ইরানি
হাইলাইটস
  • রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে 'রাষ্ট্রপত্নী' বলা নিয়ে বিতর্কে জড়ালেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী
  • অধীরবাবু এ ব্যাপারে দুঃখপ্রকাশ করেছেন
  • কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন, দলের অন্যতম নেতা অমিত মালব্য তাঁকে বিঁধেছেন

Rashtrapatni Adhir Chowdhury Nirmala Sitharaman Amit Malviya: রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে নিয়ে কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরীর মন্তব্য নিয়ে সংসদে হট্টগোল হয়েছে। এই ঘটনায় কংগ্রেসকে কড়া নিশানা করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। এ সময় তিনি সোনিয়া গান্ধীকে এ ব্যাপারে ক্ষমা চাইতে বলেন। এই সময় কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও স্মৃতি ইরানির মধ্যে বাকবিতণ্ডাও হয়। এর পাশাপাশি সনিয়া তাঁকে বলেছেন, আমার সঙ্গে কথা বলবেন না। 

সূত্রের খবর, সোনিয়া যখন রমা দেবীর সঙ্গে কথা বলছিলেন তার সঙ্গে ছিলেন বিট্টু এবং গৌরব গগৈ।

সূত্রের খবর, সোনিয়া রমা দেবীকে বলছিলেন কেন আমার নাম নেওয়া হচ্ছে।

এরপর স্মৃতি ইরানি এসে বললেন, 'ম্যাম মে আই হেল্প ইউ'। স্মৃতি বলেন, আপনার নাম নিয়েছিলাম

তখন সোনিয়া বলেন, 'Don't talk to me...'
আর তখনই দুই পক্ষের সংসদ সদস্যরা আসেন। শুরু হয় স্লোগান।

এরপর হস্তক্ষেপ করেন গৌরব গগৈ, সুপ্রিয়া সুলে

রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে 'রাষ্ট্রপত্নী' বলা নিয়ে বিতর্কে জড়ালেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। অধীরবাবু এ ব্যাপারে দুঃখপ্রকাশ করেছেন। তিনি টুইট করে সাফাই দিয়েছেন। তবে তাঁকে আক্রমণ করতে ছাড়েনি বিজেপি। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন, দলের অন্যতম নেতা অমিত মালব্য তাঁকে বিঁধেছেন। 

অধীরের সাফাই
অধীর বলেছেন, "দেখুন, ভারতের রাষ্ট্রপতি, তিনি যে-ই হন, ব্রাক্ষ্মণ হন, আদিবাসী হন, আমাদের জন্য রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রপতিই। আমাদের জন্য সম্মান এবং শ্রদ্ধার এক পদ। ববুধবার আমরা যখন বিজয় চকে আন্দোলন করছিলাম, তখন সাংবাদিকেরা জিজ্ঞেস করেন, কোথায় যাওয়ার চেষ্টা করছেন।"

তিনি বলেন, "তখন জানাই, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে চাই। রাষ্ট্রপতির বাসস্থানে যাওয়ার কথা ভাবছি। তখন ভুল করে একবার রাষ্ট্রপত্নী শব্দটি বেরিয়ে করে। কারণ গত কয়েকদিনে এ ব্য়াপারে প্রচুর কথা হয়েছে।"

Advertisement

অধীরবাবু আরও বলেন, "একবার বেরিয়ে পড়ে। আমি কাল নিজের দলের তরফে প্রেস মিট করেছি ওই বিজয় চকেই। তখন সাংবাদিক বলেন, রাষ্ট্রপত্নী বললেন? তখন তাঁকে বলি দেখুন আমি ভুল করে বলে ফেলেছি। আপনি না দেখালে ভাল হয়। তবে তা দেখিয়ে দিয়েছে। এ জন্য বিতর্ক দেখা দিয়েছে। আমার ভুল হয়েছে, মাত্র একবার। ভুল করে বলে ফেলেছি। তবে এ জন্য হাঙ্গামা দেখে তাজ্জব লাগে। বিজেপি আমাদের বিরুদ্ধে বলার কিছু নেই। তখন মশালা খুঁজে বাহানা বানাচ্ছে। ভুল করে একবার বেরিয়ে গিয়েছে। তাঁরা শূন্য থেকে ইস্যু খুঁজে বেড়াচ্ছে।"

আরও পড়ুন: আসছে গুগল আর্কাইভড অ্যাপ, এবার স্টোরেজ নিয়ে চিন্তার দিন শেষ

আরও পড়ুন: বিয়ের প্রথম দিন থেকেই মহিলাদের এই ৮ ভুল নয়, নইলে পরে আফশোস

আরও পড়ুন: রুশ স্পেস স্টেশন ভাঙার 'হাড় হিম' Video! ভারতে ভেঙে পড়তে পারে?

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নির্মলা সীতারমন টুইটে লিখেছন, "ভারতের রাষ্ট্রপতিকে 'রাষ্ট্রপত্নী' বলাটা মোটেই জিভের স্খলন ছিল না। এটি একটি উপজাতীয় পটভূমি থেকে আসা ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি ইচ্ছাকৃত যৌনতাবাদী অপমান ছিল। তাই সোনিয়া গান্ধীকে তাঁর দলের নেতার মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাওয়া উচিত।"

এদিন অমিত মালব্য টুইট করেছেন, "আরও একটি খারাপ ঘটনা। কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী, বিনীতভাবে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে "রাষ্ট্রপত্নী" বলে উল্লেখ করেছেন। চরিত্রায়নটি কেবল যৌনতাবাদী নয় বরং একজন উপজাতীয় মহিলার জন্য ঘৃণার উদ্রেক করে। যিনি একটি সাধারণ পরিবার থেকে দেশের সর্বোচ্চ পদে উঠেছেন।"

Advertisement