Shani Amavasya 2022: হিন্দু ধর্মে প্রতিটি তিথির আলাদা আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। সেই অনুসারে, প্রতিটি তিথির আলাদা গুরু থাকে। একই সময়ে, এই বছর ভাদ্রপদ অমাবস্যায় অমাবস্যাটি খুব বিশেষ। কারণ এবার এটি শনিবার পড়ছে।
এই অমাবস্যাকে কুশাগ্রহণীও বলা হয়। এই দিনে স্নান এবং দান করার বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। এই দিনে শনিবার হওয়ার কারণে শনিদোষ, শনির সাড়ে সাতি এবং ঢাইয়া থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
কোন বিশেষ যোগ হচ্ছে?
ভাদ্রপদ মাসের অমাবস্যা তিথি ২৬ আগস্ট শুক্রবার দুপুর ১২.২৪ মিনিট থেকে শুরু হবে। এবং চলবে ২৭ আগস্ট শনিবার দুপুর ১.৪৭ মিনিট পর্যন্ত। যেহেতু অমাবস্যা তিথির সূর্যোদয় (উদয় তিথি) হবে ২৭ আগস্ট, তাই এই তারিখটিকেই বিবেচনা করা হবে। এছাড়াও এই দিনে পদ্মা ও শিব নামে দুটি শুভ যোগ তৈরি হচ্ছে।
শনির সাড়ে সাতি দূরে থাকবে
এই দিনে পিতৃপুরুষদের দান করার একটি বিশেষ প্রথা রয়েছে। কথিত আছে, শ্রাদ্ধ ও তর্পণ করলে শান্তি পায়। যাঁদের কোষ্ঠীতে পিতৃ দোষ আছে, তাঁরা এর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিতে পারেন। এ বারের অমাবস্যা আরও বিশেষ হয়ে উঠেছে শনি অনাবাস্যার কারণে। শনির সাড়ে সাতি ও ঢাইয়া দূর করতেও এই দিনে ব্যবস্থা করা উপকারী। শনিদেব প্রসন্ন হলে জীবনের কষ্ট দূর হয়।
কী করতে হবে?
শনি অমাবস্যার দিন পিপুল গাছের পুজো করতে হবে শনির সাড়ে সাতি ও ঢাইয়া দূর করতে। এ ছাড়াও এই দিনে পিপুল গাছে দুধ, জল ও মিষ্টি নিবেদন করলেও উপকার পাওয়া যায়। এই দিনে পিতৃপুরুষদের খুশি করে শনিদেবও খুশি হন। শনির সাড়ে সাতিতে বিচলিত ব্যক্তিদের অবশ্যই শনিবার এবং অমাবস্যার সংমিশ্রণে শনিদেবের পুজা করতে হবে। এই দিনে শনিদেবের মন্ত্র শন শনিশ্চরায় নমঃ জপ করলে এবং শনিদেবের জন্য তেল দান করলে সবচেয়ে ভাল হবে।
কেন কুশ গ্রহণী অমাবস্যা বলা হয়?
কুশ মানে ঘাস। এ কারণে একে কুশোৎপতিনী অমাবস্যাও বলা হয়। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, এই দিনে সারা বছর ধর্মীয় কাজের জন্য কুশের সমাগম হয়।