সাথিয়া, গ্যাংস অফ ওয়াসেপুর, শূল এর মত দমদার ফিল্মের জন্য প্রখ্যাত অভিনেতা মনোজ বাজপাই প্রত্যেক সিনেমায় ফ্যানদের ফেভারিট। লোকেরা মনোজের ইন্টারভিউ খুব পছন্দ করেন এবং তার বিষয়ে লেখা গল্প পড়তেও পছন্দ করেন। মনোজ তার অভিনয়ের গুণ দিয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করছেন। কিন্তু প্রত্যেকের কিছু গোপন কাহিনী বা নেপথ্যের গল্প থাকে। আমরা শুনতে পছন্দ করি। যখন সেটি সামনে আসে তখন তা কখনও বইয়ের আকারে প্রকাশিত হয়। শুধু মনোজই নয়, স্বর্গীয় গজল গায়ক জিৎ সিং এবং নিজের সময়ে আইকনিক ভিলেন স্বর্গীয় অজিতেরও এমনই গল্প সাহিত্য আজতক ২০২২-এর সামনে বেরিয়ে সামনে আসে। এই তিনজনের উপর লেখা বই সাংবাদিক এবং লেখক রাজেশ বাদল, ইকবাল রিজভি এবং পীযূষ পান্ডে "বড়া পর্দা বড়ি ইয়াদে" সেশনে মঞ্চে একসঙ্গে মজুত ছিলেন। আসুন আমরা জানি এই আলোচনার সামনে এসেছে জগজিৎ সিং, মনোজ বাজপেয়ী এবং অজিতের অজানা কাহিনী।
স্ট্রাগল করার সময় আর্টিস্টদের পয়সা পাঠাতেন জগজিৎ সিং
নিজের জীবনে "কাঁহা তুম চলে গয়ে" বই লেখা রাজেশ বাদল জানিয়েছেন যে তার সঙ্গীত জীবনের শীর্ষে পৌঁছানোর পরও গজল সম্রাট জগজিৎ সিং নিজের বন্ধুদের সাহায্য করে গিয়েছেন। মাসে একবার যখন তার সুবিধা হতো তিনি মুম্বাইয়ের রেস্টুরেন্ট চালানো নিজের বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে সকালে বেরোতেন। তাঁর হাতে একটি লিস্ট থাকত, যার মধ্যে যারা বলিউড বা সংগীত জগতে সংঘর্ষ চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের নাম থাকত। জগজিৎ সিং সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এর পৌঁছে দিয়ে বেড়াতেন।
অজিতের ডায়লগ
অজিতের স্টাইলের জন্য তাঁকে মনে করা হয়। তাঁর বায়োগ্রাফি লিখেছেন লেখক ইকবাল রিজভি। অজিতের একটি ডায়লগ এর গল্প তিনি শুনিয়েছেন এই সময়ে ভিলেন হিসেবে শীর্ষে থাকা অজিত। সেই সময়ে এমন ডায়লগ শুনিয়েছিলেন যা নিজের সময়ে দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়ে। আজও লোকেরা কেনা জিনিসের কিস্তি ভরতে একবার সমস্যা হয়ে গেলে এই ডায়লগ মনে মনে আউড়ে যান। অজিতের ছোড়া ওই ডায়লগ তাদের সময়ে ইনস্টলমেন্ট সিস্টেমের উপর খুব সুন্দর ভাবে লাগু হয়। ইকবাল অজিতের ডায়লগ বলে জানান, "লায়ন নিজের সামনে দাঁড়ানো রবার্টকে বলছেন, "রবার্ট ইসকো এক মকান দিলওয়াদো। এখন তিনি জিজ্ঞাসা করেন কেন, তখন লায়ন বলেন, "বেওকুফ মাকান মিলনে কি উম্মিদ ইসে মরনে নেহি দেগি অউর কিস্তোকে বোঝ ইসে জিনে নেহি দেগা।" ইকবাল বলেন যে ওই সময় অজিতের নিজের ভিলেনওয়ালা চরিত্রতে টাইপ কাস্ট হয়ে যান এবং নতুন কাজ করতে চাইলেও তাঁকে সবাই সব সিনেমাতে ওই রকম চরিত্রতেই অভিনয় করাতে থাকেন।
মনোজ বাজপাই এর বাবা হতে চেয়েছিলেন অভিনেতা
পীযূষ পান্ডের বই "মনোজ বাজপেয়ি কুছ পানে কি জিদ" তে মনোজ এর জীবনের সঙ্গে জড়িত বেশ কিছু অজানা ঘটনা সামনে এনেছেন। যা হয়তো আপনি আগে কখনো শোনেননি। পীযুষ জানিয়েছেন যে মনোজ বাজপেয়ীর আগে তাঁর বাবা অভিনেতা হতে চেয়েছিলেন।
মনোজের বাবা রাধাকান্ত বাজপেয়ী কলেজের সময় অডিশন দেওয়ার জন্য পুনে ফিল্ম ইনস্টিটিউটে পৌঁছেছিলেন। যেদিন তিনি অডিশনের জন্য পৌঁছান, সেদিন ধর্মেন্দ্র এবং মনোজ কুমার অডিশন দিতে এসেছিলেন। কিন্তু পরে নিজের ছেলে মনোজ এর জন্য তিনি চাননি যে তিনি অ্যাক্টিং এ আসুন। এর কারণ তার মনে হচ্ছিল তিনি কোনও পরিচিতি না থাকায় বিহার থেকে মুম্বই গিয়ে তার ছেলেকে অনেক লড়াই করতে হবে। যদি মনোজ নিজের রাস্তা নিজেই খুঁজে নিয়েছেন এবং ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামাতে পড়ার পরেই মুম্বই পৌঁছে যান।