'জিতি বা হারি, হিন্দু এবং বাংলাদেশ ও পাকিস্তনের সংখ্যালঘু, যাঁরা এদেশে এসেছেন তাঁদের পাশে আমাদের থাকতেই হবে, এটা আমাদের নীতগত অবস্থান', ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভ ইস্ট ২০২১-এ ভার্চুয়ালি উপস্থিত হয়ে সিএএ (CAA) নিয়ে এমনটাই বললেন বিজেপি নেতা তথা অসমের (Assam) স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma)। তিনি আরও বলেন, 'সিএএন আমদের নীতিগত অবস্থান। আর সেটা আমরা অসম, পশ্চিমবঙ্গ সহ গোটা ভারতে করব।' রামমন্দির ও ৩৭০ ধারা রদের উদাহরণ টেনে হিমন্ত বলেন সঠিক সময়েই লাগু হবে সিএএ। পাশাপাশি হিমন্ত বলেন, 'গত ৫ বছরে সংখ্যালঘুদের উন্নয়নের জন্য কাজ করা হয়েছে।' এরপরেই নির্দিষ্ট একশ্রেণির বিরুদ্ধে তোপ দেগে হিমন্ত বলেন, 'আমি হারতে পারি, তবে যাঁরা অসমের মানুষ ও সংস্কৃ্তির শত্রু তাঁদের ভোট আমি চাই না।'
যদিও সিএএ নিয়ে এদিন বিজেপির কড়া সমালোচনা করেন কংগ্রেস (Congress) নেতা রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা (Randeep Singh Surjewala)। তিনি বলেন, 'বিজেপি জানে অসমে তাদের কোনও মুখ নেই। আর অসমের মানুষ এই আইনের বিরুদ্ধে।' রণদীপের প্রশ্ন, 'এটাই কি একমাত্র কারণ নয়, যে জন্য দেশের স্বরাষ্ট্রমনন্ত্রীকে বলতে হল পশ্চিমবঙ্গ ও অসমের বিধানসভা নির্বাচনের পর এই আইন লাগু করা হবে?' তাঁর মতে, 'এই গোটা বিষয়টিই মেরুকরণ, বিভাজন, ঘৃণা ছড়ানোর জন্য।'
প্রসঙ্গত পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে আরও যে সমস্ত রাজ্যে এই বছর ভোট হতে চলেছে তার মধ্যে অন্যতম দেশের উত্তরপূর্বের অসম। এবারের নির্বাচনে অসমে অন্যতম প্রধান ইস্যু সিএএ ও এনআরসি। পাশ হওয়ার পরে দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও এখনও কেন সিএএ লাগু হল না সেই নিয়ে ইতিমধ্যেই বিস্তর প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বিভিন্ন মহলে। পশ্চিমবঙ্গে মতুয়া সম্প্রদায়ের বৃহদাংশের মধ্যে তো সিএএর মাধ্যমে দ্রুত নাগরিকত্ব প্রদানের দাবিও উঠেছে। আর তারমধ্যেই হতে চলে বিধানসভা নির্বাচন। যদিও হিমন্ত বিশ্ব শর্মার দাবি, 'সিএএ নিয়ে অসমের সমস্যার ইতিমধ্যেই সমাধান করা গেছে।' এখন দেখার আগামী বিধানসভা নির্বাচনে সিএএ ইস্যু ভোট বাক্সে বাস্তবে কতটা প্রভাব ফেলে।