'আমি দলের বলিনি। বলেছি দেশের মুমূর্ষু অবস্থা।' দাবি বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের (Bankura Lok Sabha Election 2024) প্রার্থী তথা জেলার তৃণমূল সভাপতি অরূপ চক্রবর্তীর (Arup Chakraborty)। বৃহস্পতিবার অরূপ চক্রবর্তীর দলের কর্মীদের বার্তা দেওয়ার সময় একটি মন্তব্যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, 'ঐক্যবদ্ধ ভাবে দল করতে হবে। যারা তা পারবেন না, তাঁরা দয়া করে দল ছেড়ে চলে যান। দলের এই মুমূর্ষু অবস্থায় আমি দলে বিভাজন হতে দেব না। প্রয়োজনে পায়ে ধরে নেব।'
'আমি দলের বলিনি, ওটা মিসটেক'
যাবতীয় বিতর্কের প্রেক্ষিতে আজ অর্থাত্ শুক্রবার bangla.aajtak.in-কে অরূপ চক্রবর্তী বললেন, 'দলের নয়, দেশের মুমূর্ষু অবস্থা। আমি দলের বলিনি। ওটা মিসটেক। ছাড়ুন। দেশের মুমুর্ষু অবস্থা। মুখ্যমন্ত্রীকে জেলে ভরা হচ্ছে। তানাসাহি চলছে দেশজুড়ে। এজেন্সিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে বিরোধীদের বিপদে ফেলার চেষ্টা চলছে। দেশের মুমূর্ষু অবস্থা।'
তৃণমূলের আসল অবস্থাটাই বলে ফেলেছেন: সুভাষ সরকার
যদিও অরূপের মন্তব্যকে ইস্যু করে আসরে নেমে পড়েছে বিরোধী শিবির। বাঁকুড়া লোকসভার বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকারের কটাক্ষ, 'অরুপ চক্রবর্তী আসলে তৃণমূলের আসল অবস্থাটাই বলে ফেলেছেন। একথা বলার অর্থ লড়াইয়ের আগেই তিনি হার স্বীকার করে নিয়েছেন।'
কী বলেছিলেন অরূপ চক্রবর্তী?
বাঁকুড়ায় দলের কর্মী, সমর্থকদের অরূপ চক্রবর্তী বলেন, 'ঐক্যবদ্ধ ভাবে দল করতে হবে। যারা তা পারবেন না, তাঁরা দয়া করে দল ছেড়ে চলে যান। দলের এই মুমূর্ষু অবস্থায় আমি দলে বিভাজন হতে দেব না। প্রয়োজনে পায়ে ধরে নেব। এই সময়ে কে বড়, কে ছোট, তা দেখার সময় নয়। মনোমালিন্য, মান অভিমান দূরে ঠেলে সকলে একসঙ্গে লড়াই করুন। এখন একটা সঙ্কট। যুদ্ধ শুরু হচ্ছে। এই সময় কে বড় কে ছোট তা দেখার সময় নয়। মনোমালিন্য, মান, অভিমান দূরে ঠেলে সকলে একসঙ্গে লড়াই করুন।'
বস্তুত, গত বুধবারও বাঁকুড়ার কতুলপুরে তৃণমূলের সভায় তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তীর বক্তব্যে তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের ইঙ্গিত মেলে। টিকিট না পেয়ে ক্ষুব্ধ নেতাদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, 'দলের কিছু নেতা অভিমান করে বসে আছেন। পদ না পেলে বা পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হলেই তাঁরা গুম হয়ে বসে যাচ্ছেন ৷ এইভাবেই তো আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি।'