নীতিন গডকড়ি বা রাজনাথের সিংয়ের মধ্যে কেউ প্রধানমন্ত্রী হলে কোনও আপত্তি ছিল না। বুধবার গলসির সভায় একথাই বললেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে মমতা বুঝিয়ে দেন, তৃণমূলের কোনও কোনও নেতার কাজকর্ম নিয়ে সাধারণ মানুষের বিরক্তি হলেও তাঁর কাজে নয়। নেত্রীর কথায়,'তৃণমূল কংগ্রেসের কারও কারও প্রতি বিরক্ত থাকলেও আমার প্রতি নন'।
বাংলায় এসে মমতাকে আক্রমণ শানিয়েছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তাঁর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীর্ঘদিনের সুসম্পর্ক। সেই রাজনাথের আক্রমণে হতবাক হয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। সে কথা গোপন করেননি তিনি। এ দিন মমতা বলেন,'কোনওদিন আশা করিনি, কাগজে দেখলাম রাজনাথের মতো মানুষ এসে বলেছেন, কোন মাই কা লাল হ্যায় ক্যা রুখেঙ্গে। আমি রাজনাথবাবুকে প্রণাম জানিয়ে বলছি, আমরা রুখব। কোনও ক্যা, এনআরসি হতে দেব না, ইউনিফর্ম সিবিল কোর্ডও হতে দেব না। কত ক্ষমতা আছে আপনি দেখে নেবেন! মোদীর দয়ায় তো বেঁচে থাকেন। সকাল-বিকেল মোদীকে প্রণাম করে নিজের চেয়ার বাঁচান'।
রাজনাথ বা নীতিনের মধ্যে কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন, এমনটাই অভিমত মমতার। তাঁর কথায়,'আপনি (রাজনাথ সিং) তো আজ দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন। কেউ তো মানা করেনি। নীতিন গডকড়ি হতে পারতেন, কোনও আপত্তি ছিল না। একটা ভদ্রলোক যাক, যে অন্তত ভদ্রতা দেখাবে'। মমতা যোগ করেন,'দাঙ্গা করে মানুষ মেরে হাতগুলো খুনে লাল হয়ে গিয়েছে। লাল থেকে গেরুয়া হয়ে গিয়েছে। দূরদর্শন থেকে রেলস্টেশন, ট্রেন সব গেরুয়া করে দিয়েছে। পারলে আকাশটাকেও গেরুয়া করে দিত'।
এ দিন দিলীপকেও নিশানা করেন মমতা। বলেন, 'এখানে যিনি বিজেপির হয়ে দাঁড়িয়েছে তিনি খড়্গপুরের সাংসদ ছিলেন। প্রতিদিন রাস্তায় দাঁড়িয়ে বলছে তৃণমূলকে পেটাও, লাঠি মারো। এটা মুখের ভাষা হতে পারে? একটা রাজনৈতিক নেতা একথা বললে ভাববেন সে রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। ওদের কেউ বলে, বোমা ফাটাব, কেউ বলে উল্টে দেব, কেউ বলে, লটকে দেব। এই সমস্ত ভাষার কোনও মানে হয়!'