Suvendu Adhikary Rekha Patra: বসিরহাটের সভা থেকে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে তৃণমূলকে তুলোধোনা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ও রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখ শুভেন্দু অধিকারী। সেই সঙ্গে ও পুলিশস জেলাশাসক সহ সরকারি পদাধিকারীদেরও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। এদিন অবশ্য তিনি রেখা পাত্রকে সঙ্গে নিয়ে তাঁকে সমর্থন করার ডাক দেন। এমনকী রেখার মতো গরিব মহিলার বিরুদ্ধে যাঁরা কুৎসা করবেন তাঁদের মা দুর্গার অভিশাপে ধ্বংস হয়ে যেতে হবে বলেও অভিশাপ দেন।
এদিন বসিরহাটের যে মাঠে কয়েকদিন আগে তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সভা করেন, সেখানে সভা করতে চেয়েও অনুমতি পাননি শুভেন্দু। যা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন সভা মঞ্চ থেকে। তিনি খোলা প্রশ্ন রাখেন সরকারি পদাধিকারীদের কাছে। প্রশ্ন তোলেন, "কার ইন্ধনে সভা করতে দেননি, তার বিচার হবে। এসডিও, এসপি, ডিএম, আপনাদের মুখে ঝামা ঘষে প্রচারের শেষ সভা ওই মাঠেই করব।" তিনি অভিযোগ করেন, চিরদিন কাহারও সমান নাহি যায়। আজকে যে রাজা, কাল ভিখারি। তৃণমূলের স্থানীয় নেতা মেহেদি হাসান, আয়ুষ গাজীদের নাম করে সাবধান করে দেন। তিনি বলেন, "গণতন্ত্র মেনে চলুন। ভদ্র হন।"
এরপরই শুভেন্দু পাশে থাকা রেখা পাত্রকে দেখিয়ে জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, "ওঁকে কে সিলেকশন করেছেন জানেন? বাকি উত্তর অবশ্য স্থানীয় জমায়েত থেকে ভেসে আসে। সকলেই জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মনোনীত তিনি। শুভেন্দু বলেন, রেখা দলিত কন্যা, তাঁর পাশে থাকুন। রেখা ও রেখার মতো গরিবের বাড়ির বোনেদের অপমান যাঁরা করছেন, কুৎসা রটাচ্ছেন, মা দুর্গার অভিশাপে তোমরা সবাই ধ্বংস হবে।" পাশাপাশি বিজেপি ক্ষমতায় এলে বসিরহাটে চুরি, দুর্নীতি, বন্ধ হবে।তিনি বলেন, "যত পুকুর বুজিয়েছেন, সব খোঁড়াব।" তৃণমূলের নাম না করে চোরেদের সরকারকে হঠানোর ডাক দেন তিনি।
তিনি বলেন, "আমি নন্দীগ্রাম করা লোক, লক্ষণ শেঠকে হারানো লোক, ওঁদের মালিক মমতাকে হারিয়েছি। রেখার সঙ্গে সবাই আছেন তো?" কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। যা লাগবে সব হবে। কে কে ভোট দিতে পারেননি হাত তুলুন। বদলা হবে।"
এর আগে, দেবাংশু ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে জাতীয় মহিলা কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেন রেখা পাত্র। সন্দেশখালির আন্দোলনকারী তথা বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা রাজ্য সরকারের প্রকল্পের সুবিধা নিয়েছেন বলে দাবি করেছে তৃণমূল। যা ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। রেখার স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছেন দেবাংশু। ওই কার্ড পোস্ট করে দেবাংশু দাবি করেছেন, সেটি রেখার। পরে তৃণমূলের তরফেও একই দাবি করা হয়। এই নিয়ে দেবাংশুর বিরুদ্ধে গোপনীয়তার অধিকার ভঙ্গের অভিযোগ করেন রেখা।
জাতীয় মহিলা কমিশনকে চিঠিতে রেখা লিখেছেন যে, ফেসবুকে তাঁর ব্যক্তিগত তথ্য যেমন, ফোন নম্বর, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের তথ্য পোস্ট করেছেন দেবাংশু। যার ফলে গোপনীয়তা লঙ্ঘিত হয়েছে। আইনজীবী মারফৎ কমিশনে এই চিঠি পাঠিয়েছেন রেখা।