scorecardresearch
 

Highest Booth West Bengal: ১০ হাজার ফুট উচ্চতায় ভোট, নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত রাজ্যের উচ্চতম বুথ শ্রীখোলা

Highest Booth West Bengal: রাজ্যের উচ্চতম ভোটগ্রহণকেন্দ্র রয়েছে। যেখানে আবার গাড়ি যায় না। খচ্চরের পিঠে ভোটযন্ত্র ও অন্যান্য জিনিস উঠিয়ে দিতে হয়। কর্মী ও পুলিশকেও হেঁটেই যেতে হয়। 

Advertisement
১০ হাজার ফুট উচ্চতায় ভোট, নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত রাজ্যের উচ্চতম বুথ শ্রীখোলা ১০ হাজার ফুট উচ্চতায় ভোট, নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত রাজ্যের উচ্চতম বুথ শ্রীখোলা
হাইলাইটস
  • পৌঁছনোর উপায় হেঁটে কিংবা খচ্চরের পিঠে
  • ভরসা করেন নিজের কপাল এবং দু'পায়ের উপরই
  • তৃণমূল প্রার্থী অমর সিং রাই বহু অসাধ্য সাধন করে একবার পৌঁছেছিলেন

Loksabha Election 2024 Highest Booth West Bengal Srikhola: রাজ্যের উচ্চতম ভোটকেন্দ্র শ্রীখোলা। উচ্চতা দশ হাজার ফুট। রাত পোহালেই ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে এ রাজ্যের উচ্চতম এবং দুর্গমতম ভোটগ্রহণ কেন্দ্র শ্রীখোলা। দার্জিলিং বিধানসভা কেন্দ্রের অন্যতম স্বল্প সংখ্যক ভোটার সমৃদ্ধ ভোটগ্রহণ কেন্দ্র। খচ্চরের পিঠে ভোট সামগ্রী জুতিয়ে নিয়ে রওনা হলেন ভোটকর্মীরা। কারণ শুধু উচ্চতমই নয়, দুর্গমতমও বটে। তেমন রাস্তা নেই। যেতে হয়, খচ্চরের পিঠে চেপেই। এখানে মোবাইল টাওয়ার ধরে না। ইলেকট্রিসিটি নেই। ফলে ক্যামেরা বা মোবাইল চার্জ দেওয়া যায় না। রাতেও ঘরে থাকবে সামান্য পাওয়ারের আলো। তার মধ্য়েই চলবে ভোটগ্রহণ। গণতন্ত্রের পরীক্ষা নিতে হাজির সরকারি পরীক্ষকরা।

রাজ্যের উচ্চতম ভোটগ্রহণকেন্দ্র এটি
এখানেই রাজ্যের উচ্চতম ভোটগ্রহণকেন্দ্র রয়েছে। যেখানে আবার গাড়ি যায় না। খচ্চরের পিঠে ভোটযন্ত্র ও অন্যান্য জিনিস উঠিয়ে দিতে হয়। কর্মী ও পুলিশকেও হেঁটেই যেতে হয়। গাড়ি চলে না মোটেই। একটা উচ্চতার পর ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের পৌঁছনোর উপায় হেঁটে কিংবা খচ্চরের পিঠে। খাড়াই পথে খচ্চরের উপর লটবহর নিয়ে উঠতে অনভ্যস্ত শরীর নেবে কিনা কোনও নিশ্চয়তা নেই। ফলে বেশির ভাগই ভরসা করেন নিজের কপাল এবং দু'পায়ের উপরই। তাই আশপাশের আরও কয়েকটি দুর্গম ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সঙ্গে এই ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে পৌঁছতে বৃহস্পতিবারই রওনা হয়ে গিয়েছেন ভোটকর্মীরা।

মাত্র ১০ বছর আগেই ঢুকেছে ভোট মানচিত্রে
২০১৪ সালেই প্রথম নির্বাচন দেখেছে শ্রীখোলার এই ভোট গ্রহণ কেন্দ্রটি। তার আগে দুর্গমতার কারণে ভোট দেওয়া হয়নি কোনওদিন। প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে ভোট দিতে যেতে হওয়ায় বেশিরভাগই ভোট দিতেন না। এখনও পর্যন্ত এলাকায় বিদ্যুৎ পৌঁছয়নি। ভরসা সোলার সিস্টেম। এমনকী নির্বাচন হলেও রাজনৈতিক নেতা নেত্রীরা প্রচারেও যান না সেখানে। গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী অমর সিং রাই বহু অসাধ্য সাধন করে একবার পৌঁছেছিলেন দেড় হাজার জনসংখ্যা বিশিষ্ট শ্রীখোলায়। সেই সভায় প্রায় গোটা গ্রাম ভেঙে পড়েছিল যাত্রাপালা দেখার মতো আগ্রহ নিয়ে।

আরও পড়ুন

Advertisement

শ্রীখোলা ছাড়াও, দারাগাঁও এবং রাম্মামও দুর্গম ভোট কেন্দ্রগুলির মধ্যে অন্যতম এবং উচ্চতায় শ্রীখোলার কাছাকাছি। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ভোটগ্রহণ কেন্দ্রগুলি বেশ দুর্গম এলাকায়। ফলে, কোনও যানবাহনে সেখানে পৌঁছনো সম্ভব নয়। তাই ওই এলাকায় ভোট নিতে ৫ থেকে ১৫ কিলোমিটার হাঁটা পথই ভরসা ভোটকর্মীদের। দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে এমন দুর্গম ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যা এবার অন্তত ১৫ টি৷ ওইসব এলাকার বাসিন্দাদের ভোট নিতে ভোটকর্মীরা কখনও ঘোড়া কিংবা খচ্চরের পিঠে ইভিএম মেশিন-সহ ভোট সামগ্রী চাপিয়ে নিজেরা পায়ে হেঁটে পৌঁছন।

 

Advertisement