স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পরে এবার খুব সম্ভবত বাংলা সফরে আসছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। প্রধানমন্ত্রী অফিসের সূত্র মারফত এমনটাই জানা গিয়েছে। তবে সেই কর্মসূচির বিষয়ে এখনও স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। অন্যদিকে, জানুয়ারির ১২ তারিখই বাংলা সফরে আসছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
প্রধানমন্ত্রীর এই সফর যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ
তবে প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। ইতিমধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বেশ কয়েকবার বাংলা সফর করেছেন। সেইসঙ্গে তিনি একাধিক কর্মসূচিও করেছেন। তৃণমূলে বড় ভাঙণ ধরিয়ে যোগদান করিয়েছেন শুভেন্দুর অধিকারী -সহ আরও অনেক নেতাকে। এমন অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর এই সফর যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। জানুয়ারির ১২ তারিখ এ রাজ্যে আসতে চলেছেন অমিত শাহ। সম্প্রতি তিনি দু দিনের বঙ্গ সফরে এসেছিলেন। এখানে এসেই তিনি রাজ্যের শাসকদলকে বড়সড় ধাক্কা দেন। খুব সম্ভবত, এবার তিনদিনের বাংলা সফরে আসতে চলেছেন শাহ।
আরও পড়ুন, সেই কবে লালবাহাদুর! ৫৬ বছরের ট্রেন্ড ভেঙে AMU সমাবর্তনে মোদী
দক্ষিণেশ্বর ও কোচবিহারের রাজবাড়ি
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করেছে গেরুয়া শিবির। মাঝেমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর টুইটার হ্যান্ডেল থেকে একাধিক ট্যুইট বাংলাতে দেখা যায়। সেইসঙ্গে তিনি উজবেকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে দক্ষিণেশ্বরের কালিমন্দিরের ছবি রেখেছিলেন। আবার বাংলাদেশের সঙ্গে বৈঠকের সময়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা গিয়েছে কোচবিহারের রাজবাড়ির ছবি। রাজনৈতিক মহলের মতে, একদিকে যখন তৃণমূল বহিরাগত ইস্যুতে লাগাতার নিশানা করছে বিজেপিকে। ঠিক তখনই বাংলার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ স্থান আন্তর্জাতিক আঙিনায় নিয়ে আসছেন প্রধানমন্ত্রী। আসন্ন বিধানসভা ভোটের লক্ষ্যে বাঙালি আবেগে জায়গা করে নিতে মরিয়া গেরুয়া শিবির।
অমিত শাহের তোপ
অন্যদিকে রাজ্য সফরে এসেই তৃণমূলকে একের পর এক ইস্যুতে আক্রমণ করেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, "তোলাবাজি, দুর্নীতি, পরিবারতন্ত্র, বোমা হামলায় এক নম্বরে রয়েছে রাজ্য। যে বাংলা ১ নম্বরে থাকত, আজ কোনওটাতে নেই। সব ২০-র নীচে। পরিবারতন্ত্র হলে এমনই ঘটনা ঘটে। শুভেন্দু বিজেপি যোগ দিয়েছেন। তাঁকে মন থেকে স্বাগত জানাই। যাঁরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়তে চান, তারা বিজেপিতে আসতে চাইলে স্বাগত। রাজ্যে হিংসার বাতাবরণ। আজ মানুষের স্রোত ওঁদের চোখ খুলে দেবে।"