কয়লা পাচারকাণ্ডে (Coal smuggling) তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Rujira Banerjee) নোটিশ সিবিআই-এর (CBI)। আর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। কয়লা পাচার, গরু পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে শুরু করেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। একই সঙ্গে সঠিক তদন্তের দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা।
এই ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি তুলেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। তিনি বলেন, "সবাই জানে শাসক দলের লোকেরা গরু পাচার, কয়লা পাচার, বালি পাচারের সঙ্গে যুক্ত। রাজ্যের শাসক দলের নেতা মন্ত্রী, প্রশাসনের আমলা, কর্তাব্যক্তিদের সিবিআই নোটিশ পাঠাতেই পারে। কোনই অপরাধিই যেন নিষ্কৃতি না পায়।"
পাশাপাশি সিবিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty) বলেন, "এর মধ্যে নতুনত্ব কিছু নেই। কয়লা পাচার, গরু পাচার, বালি পাচার সোনা পাচার, সবাই জানেন কারা এখানে যুক্ত। টাকা কোথায় আসে, পাচার কোথায় হয়, কালীঘাটের কোন ঠিকানাটা গুরুত্বপূর্ণ, কোন বাড়ির আগে পড়ে পুলিশি ঘেরাটোপ থাকে, এগুলো সবাই জানেন।" সুজনের প্রশ্ন, "মুখ্যমন্ত্রী এগুলো কেন সময় মতো তদন্ত করেননি?" সেক্ষেত্রে তদন্তকে ধামা চাপা দিয়ে সিবিআইকে মুখ্যমন্ত্রী সুযোগ করে দিয়েছেন বলেই মনে করেন সুজন। একই সঙ্গে সুজনের আরও প্রশ্ন, "সিবিআই গত এক দু'বছর ধরে কিছু না করে এখন ভোটের মুখে কেন? আমার চাইবো ঠিক মতো তদন্ত করতে হবে, অপরাধিকে চিহ্নিত করতে হবে ও শাস্তি দিতে হবে।"
কয়লা পাচারকাণ্ডে এদিনই তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়ে নোটিশ দেয় সিবিআই। সাক্ষী হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে অভিষেকের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শ্যালককে নোটিশ দিয়েছেন সিবিআই-এর আধিকারিকরা। কিছু সন্দেহজনক লেনদেনের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই এই নোটিশ বলে জানা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে অভিষেকের স্ত্রী ও তাঁর শ্যালককে কোথাও যেতে হবে না, সিবিআই-এর আধিকারিকরাই বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসা করবেন বলে খবর। তবে যে সময় সিবিআই-এর আধিকারিকরা গিয়েছিলেন সেই সময় বাড়িতে কেউ ছিলেন না। এদিকে এই নোটিশের পরেই নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে অভিষেকের বাড়িতে।