মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব, চিট ফান্ডের টাকা ফেরৎ, কৃষি আইন প্রত্যাহার সহ একগুচ্ছ দাবিতে পথে নামল কংগ্রেস (Congress)। মিছিলে পা মেলালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। দক্ষিণ কলকাতার ওয়াটগঞ্জ থেকে খিদিরপুর মোড় পর্যন্ত মিছিলে হাঁটেন তিনি। এছাড়াও মিছিলে ছিলেন দক্ষিণ কলকাতার কংগ্রেস সভাপতি সৌমেন পাল, সহ সভাপতি মহম্মদ মোক্তার সহ একাধিক নেতৃবৃন্দ। মিছিল শেষে খিদিরপুর মোড়ে এক সভার আয়োজন করা হয়। সভা থেকে তৃণমূল (TMC) ও বিজেপি (BJP) তীব্র আক্রমণ করেন অধীর।
সভা থেকে দেশের অগ্রগতির নেপথ্যে কংগ্রেসের ভূমিকা তুলে ধরেন অধীর। তিনি বলেন,"মানুষের মতামত প্রকাশ পায় নির্বাচন নামের অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে। দেশ যখন স্বাধীনতা পেয়েছিল তখন ভারতবাসীর আয় ছিল ২৫০ টাকা, গড় আয়ু ছিল ৩২ বছর। সেইসবকে পিছনে ফেলে কংগ্রেস দেশকে এগিয়ে নিয়ে যায়। কংগ্রেসকে গালাগালি করা যায়, মারা যায়, কিন্তু ভারতবর্ষের ইতিহাস থেকে তাকে মুছে দেওয়া যাবে না।" তিনি আরও যোগ করেন, "বিজেপি কৃষক আন্দোলনকে দমিয়ে দেওয়ার জন্য রাজপথে কাঁটাতার বিছিয়ে দিচ্ছে। ভারতবাসীদের আন্দোলন করার অধিকার নেই। প্রকাশ্যে সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললেই তাঁকে জেলে যেতে হচ্ছে।"
মূল্যবৃদ্ধি নিয়েও কেন্দ্র সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন অধীর চৌধুরী। তোপ দাগেন সাম্প্রদায়িকতা নিয়েও। বলেন 'নির্বাচন আসছে। সাম্প্রদায়িকতার রঙ লাগিয়ে রাজনীতি হবে। এই রাজনীতি চাই না। হিন্দু মুসলমানের মধ্যে বিভেদ করা চলবে না। পাশপাশি আক্রমণ করেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। তিনি বলেন, বিজেপিকে বাংলায় এনেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির সঙ্গে আসন সমঝোতা করে বাংলায় বিজেপিকে আনা হয়েছে।" অধীরের কটাক্ষ, "এখন বিজেপিকে হারাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল কংগ্রেসের সমর্থন চাইছে! কংগ্রেসের গর্ভেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম। সেই কংগ্রেসকেই অস্বীকার করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।" প্রসঙ্গত বিভিন্ন সময়েই বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে গোপন আঁতাতের অভিযোগ এনেছে কংগ্রেস। এমনকি বামেদের তরফেও সেই একই অভিযোগ আনা হয়েছে। তৃণমূল ও কংগ্রেস 'একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ' বলে প্রায়শই অভিযোগ তোলে বাম কংগ্রেস।