তৃণমূল (TMC) আর বিজেপি (BJP)-এর মধ্যে কোনও ফারাক নেই। তারা একই। তারা লোক দেখানো বিরোধিতা করে। রবিবার গড়বেতা (Garbeta)-এর সভায় এই দাবি করলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী (Former Minister), সিপিআইএম (CPIM) নেতা সুশান্ত ঘোষ (Sushanta Ghosh)। আদালতের অনুমিত পেয়ে প্রায় ৯ বছর বাদে তিনি নিজের এলাকায় ঢুতে পেরেছেন।
এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী, সিপিএম নেতা ফুয়াদ হালিম প্রমুখ। এদিন সুশান্ত ঘোষ, "যাঁরা লাল ঝান্ডা ভালবাসেন, তাঁরা আমাকে ভালবাসন। তাই তাঁরা এখানে এসেছেন।" ৮ ডিসেম্বরের ধর্মঘট সফাল করার আবেদন জানান তিনি। উল্লেখ্য, তাঁর সভা সরাসরি দেখানোর জন্য বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী ফেসবুক লাইভের ব্যবস্থা করেছিলেন।
এদিন সুজন চক্রবর্তী বলেন, "ঘরের ছেলে ঘরে ফিরেছে। তাঁর ওপর অনেক অন্যায় হয়েছে।" সুশান্ত ঘোষ বলেন, মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে তৃণমূলের হাত থেকে বাঁচাতে পারে বিজেপি। এই প্রচার চালানো হচ্ছিল। মানুষ এখনও বিভ্রান্ত। তাদের হাত থেকে বাঁচতে বিজেপির ঝান্ডা ধরতে হবে। আমি তো চমকে গেলাম। তৃণমূল এত খারাপ তার সম্পর্কে ব্যাখ্যা করা যায় না। বিজেপি তার থেকেও কয়েক হাজার গুণ খারাপ।
সুশান্ত ঘোষ বলেন, বাংলায় লাল ঝান্ডা নেই বলে বলা হয়। এখন সব রাগ গিয়ে পড়েছে লাল ঝান্ডার ওপর। লাল ঝান্ডাই মানুষের আসল শক্তি। অন্যায়কারীদের ওপর চোখে চোখ রেখে লড়াই করে হিসেব বুঝে নেওয়ার ঝান্ডা লাল ঝান্ডা, দাবি আদায়ের ঝান্ডা লাল ঝান্ডা। একদিকে লাল ঝান্ডা, অন্যদিতে সব ঝান্ডা। মেদিনীপুর থেকেই এই লড়াই শুরু হবে। কোনও আনুষ্ঠানিক সভা করবেন না, এই আর্জি জানিয়েছিলাম।
দিন কয়েক আগে তিনি সিপিআইএম রাজ্য দপ্তরে গিয়েছিলেন। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি দাবি করেছেন, কঙ্কাল-কাণ্ডে তাঁকে ফাঁসানো হয়েছিল। তিনি নির্দোষ কি দোষী- সব সামনে আসবে। তার জন্য আরও কয়েকদিন অপেক্ষা করার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
কঙ্কাল-কাণ্ড নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সুশান্ত বলেন, "কঙ্কাল কীভাবে, কোথা থেকে এল, এবার সব জানতে পারবেন মানুষ। অনেক কুৎসা রটানো হয়েছিল মিথ্যা অভিযোগে আমাকে ফাঁসানো হয়েছিল। যখনই আদালতে একটি মামলা থেকে ছাড় মিলেছে, তখনই অন্য মামলা দিয়ে দেওয়া হয়েছে।"
এদিন সুশান্তবাবু আরও বলেন, "সব সামনে আসবে। অপেক্ষা করুন। বহু পুরনো মৃতদেহের পাশ থেকে কীভাবে স্যান্ডো গেঞ্জি পাওয়া গেল, তার রহস্য খুলবে। অনেক ছবি দেখতে পারবেন ৬ ডিসেম্বর।"
(বিস্তারিত আসেছ...)