বাংলায় এলেন অল ইন্ডিয়া মজলিস-এ ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (AIMIM বা মিম) প্রধান আসাউদ্দিন ওয়াইসি (Asauddin Owaisi)। রবিবার তিনি ফুরফুরা শরীফ (Furfura Sharif)-এ প্রার্থনা করেন। পরে সেখানে পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে বৈঠক করেন।
জানা গিয়েছে, এদিন সকালে তিনি কলকাতা থেকে সোজা চলে যান ফুরফুরা শরীফে। সেখানে প্রার্থনা করেন। পরে পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকীর সঙ্গে বৈঠক করেন। দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গেও আলোচনা করবেন তিনি। ওয়াইসি শনিবার রাজ্যে এসেছেন।
ওআইসির বাংলা সফরকে ঘিরে তুমুল আলোচনা শুরু হয়েছে। এর আগেই তিনি জানিয়েছিলেন বাংলাতে আসবেন। বিহার বিধানসভায় ভোট কেটে বিজেপির সুবিধা করে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল তার দলের বিরুদ্ধে। হায়দরাবাদের পুরসভা ভোটেও দেখা গিয়েছিল তারা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ রাজ্যে সংখ্যালঘু ভোট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত শাসক দলের সঙ্গেই থাকে সংখ্যালঘু ভোটের সমর্থন। তাতে ফাটল ধরলে বিপাকে পড়বে তৃণমূল। আর এটা তাদের সপব সময় ভাবাচ্ছে। যদিও প্রকাশ্যে সে কথা মানতে নারাজ রাজ্যের শাসকদল।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কারও নাম না করে মিমের কড়া সমালোচনা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন সংখ্যালঘু ভাটো ভাগ করার জন্য হায়দ্রাবাদের একটা পার্টিকে আনা হয়েছে। সেটা বিজেপির বি টিম। বিজেপি তাদের টাকা দেয়।
অনেকটা একই অভিযোগ তুলেছে বাম, কংগ্রেসও। তাদের দাবি, যখন বিজেপি বিপদে পড়ে, তখন মিম কাজে মেনে পড়ে।
তবে ওয়াইসির বক্তব্য, সংখ্যালঘু ভোট কারও জমিদারি নয়। আর এমন কেউ তৈরি হননি যিনি তাঁকে টাকা দিয়ে কিনে নিতে পারবে। এ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে তাঁর দল লড়বে বলে আগেই জানিয় দিয়েছিলেন তিনি। তবে কতগুলি আসনে লড়বে মিম, সে ব্য়াপারে একনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
দিন কয়েক আগে তৃণমূল দাবি করেছিল, মিম-এর বড়সড় কয়েকজন নেতা তাদের দলে যোগ দিয়েছে। কিন্তু সেই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ মিম। অন্যদিকে তৃণমূল থেকে বিভিন্ন স্তরের নেতারা জেলায় জেলায় তাদের দলে যোগ দিচ্ছেন বলে দাবি করেছে মিম। বিভিন্ন জেলায় সভা, কর্মিসভা শুরু করে দিয়েছে তারা।