আবারও ভাঙন মিমে (AIMIM)। এবার তৃণমূলে (TMC) যোগ দিলেন আসাদুদ্দিন ওয়েইসির অল ইন্ডিয়া মজলিশ এ ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের পশ্চিমবঙ্গ শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ আবদুল কালাম (Sheikh Abdul Kalam)। শনিবার তৃণমূল ভবনে ঘাসফুলের পতাকা হাতে তুলে নেন তিনি। তাঁর সঙ্গে এদিনও আরও বেশ কয়েকজন মিম সমর্থক যোগ দেন তৃণমূলে। ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিয়ে শেখ আবদুল কালাম বলেন, "আমরা মিমের আগে আইওডিএফ করেছি এবং আদর্শের জন্য লড়েছি। দলিত, পিছিয়ে পড়া শ্রেণির চাকরির জন্য লড়েছি। পরে মিমের কাজ দেখলাম। মিমে যোগদানের সিদ্ধান্ত নিলাম। কিন্তু যখন মিমের মাধ্যমে জনগণের জন্য কাজ করা শুরু করি, তখন আমাদের সঙ্গে খারাপ ঘটনা ঘটে। কোথাও নিরাপত্তা নেই। যদি নির্বাচনে অন্য দল জেতে তবে আমাদের পক্ষে পশ্চিমবঙ্গে থাকা কঠিন হয়ে যাবে।"
আর এই প্রথম নয়, এর আগেও তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন মিমের নেতারা। গত নভেম্বরে মিমের আরও এক নেতা আনোয়ার হোসেন পাসা যোগ দেন তৃণমূলে। তাঁর সঙ্গেই রাজ্যের শাসক দলে যোগ দেন মিমের আরও বেশ কয়েকজন নেতা। যদিও সেই সময় মিমের তরফে দাবি করা হয়, আনোয়েরারে বিরুদ্ধে বেশকিছু অভিযোগ থাকায় আগেই তাঁকে দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। সেক্ষেত্রে আনোয়ার দলের কেউ নয় বলেই সেই সময় দাবি করে মিম।
প্রসঙ্গত বিহার নির্বাচনে ৫টি আসন জয়ের পর পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনেও প্রার্থী দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মিম প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়েইসি। এমনকি কয়েকদিন আগে রাজ্যে এসে পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকীর সঙ্গে বৈঠকও করেন তিনি। বৈঠকের পর ওয়েইসি জানান নির্বাচনে আব্বাস সিদ্দিকীর পাশে থেকেই লড়বে মিম। এদিকে যবে থেকে মিম বাংলায় প্রার্থী দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে তবে থেকেই রাজ্যের ভোট ভাগের সমীকরণ নিয়ে নতুন করে অঙ্ক কষতে শুরু করে দিয়েছে রাজনৈতিক মহল। কারণ মিম এরাজ্যের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে আদতে তৃণমূলের দখলে থাকা সংখ্যালঘু ভোট ভাগ হতে পারে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। সেক্ষেত্রে মিমের একের পর এক নেতার তৃণমূলে যোগদানের ঘটনা ঘাসফুল শিবিরে বাড়তি অক্সিজেন দেবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।