scorecardresearch
 

আলিপুরদুয়ারের তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস শীর্ষ নেত্রীকে জবাবদিহি করতে বলল ECI, কী কারণে?

তবে আলিপুরদুয়ার জেলা নির্বাচন কমিশনকে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। জানা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমুলের মহিলা সভানেত্রী (Alipurduar District Trinamool Mahila Congress President) দীপিকা রায় (Deepika Roy) সাঁওতালপুর মিশন হাইস্কুলের সহকারি শিক্ষিকা। তিনি দলীয় পদে থাকলেও তিনি কোনও জনপ্রতিনিধি নন। স্বাভাবিক ভাবেই তিনি 'লিয়েন'এ নেই।

Advertisement
আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমুলের মহিলা সভানেত্রী দীপিকা রায়। ছবি: অসীম দত্ত আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমুলের মহিলা সভানেত্রী দীপিকা রায়। ছবি: অসীম দত্ত
হাইলাইটস
  • নির্বাচন কমিশনের প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগ দেননি
  • এই অভিযোগে শো-কজ করা হল তৃণমূল নেত্রীকে
  • অভিযুক্ত জানিয়েছেন, তিনি জবাব দেবেন

নির্বাচন কমিশন (Election Commission)-এর প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগ দেননি। এই অভিযোগে শো-কজ করা হল তৃণমূল নেত্রীকে। আলিপুরদুয়ারের ঘটনা। অভিযুক্ত জানিয়েছেন, তিনি জবাব দেবেন।

আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমুলের মহিলা সভানেত্রী দীপিকা রায় (Deepika Roy)-সহ আরও দুজনকে শোকজ করল নির্বাচন কমিশন। অভিযোগ, কমিশনের নির্দেশ সত্বেও আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের প্রশিক্ষণ শিবিরে তিনি যোগ দেননি। আলিপুরদুয়ার জেলা বিজেপির অভিযোগ, দলীয় প্রভাব খাটিয়ে জেলা তৃনমুলের জেলা সভানেত্রী নির্বাচনের প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগ দেননি।

তবে আলিপুরদুয়ার জেলা নির্বাচন কমিশন (Election Commission)-কে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। জানা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমুলের মহিলা সভানেত্রী (Alipurduar District Trinamool Mahila Congress President) দীপিকা রায় (Deepika Roy) সাঁওতালপুর মিশন হাইস্কুলের সহকারি শিক্ষিকা। তিনি দলীয় পদে থাকলেও তিনি কোনও জনপ্রতিনিধি নন। স্বাভাবিক ভাবেই তিনি 'লিয়েন'এ নেই।

তাই কেন তিনি নির্বাচনের প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগদান করেননি, এই বিষয়ে তার কাছে কৈফয়েত তলব করেছে জেলা নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। দুদিনের মধ্যেই নির্বাচন কমিশন তাঁর কাছে কৈফয়েত চেয়েছে। 

২২ ফেব্রুয়ারি থেকে জেলার মহিলা সভানেত্রী দীপিকা রায়ের নির্বাচনের প্রশিক্ষণ ছিল। যদিও তিনি নির্বাচন কমিশনের নির্দেশকে গুরুত্ব না দিয়ে গরহাজির থাকেন প্রশিক্ষণ শিবিরে।

বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের নজরে আসতেই তারা দীপিকা রায় (Deepika Roy) সহ বাকি দুই জনের কাছে কৈফিয়ত তলব করে।

দুদিন আগেই নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে ভোটের প্রশিক্ষনের চিঠি আসে আলিপুরদুয়ার দুই নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অনুপ দাসের কাছে। এরপরই অনুপবাবু এই বিষয়ে কমিশনের দারস্থ হন। অনুপবাবু একটি সরকারি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী।

তিনি জনপ্রতিনিধি হওয়ার সুবাদে বর্তমানে 'লিয়েন'এ রয়েছেন। তবে দীপিকা রায় দলীয় উচ্চ পদে থাকলেও তিনি জনপ্রতিনিধি নন। সেই কারনেই দীপিকা রায় (Deepika Roy) সহ বাকি দুই জনকে শোকজ করেছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)।

Advertisement

আলিপুরদুয়ার জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি জয়ন্ত রায়ের অভিযোগ, দলীয় ক্ষমতার বলেই দীপিকা রায় নির্বাচনের প্রশিক্ষণ শিবিরে হাজির হননি। এই দলীয় ক্ষমতা তৃণমুলের সর্বস্তরের নেতারা দেখিয়ে থাকেন। তাঁর আরও অভিযোগ, পুলিশ, প্রশাসন এদের দলীয় ক্ষমতার ভয়ে দলদাসে পরিণত হয়েছে।

শোকজ সম্পর্কে দীপিকা রায় (Deepika Roy) বলেন আমি প্রথম সারির নেত্রী। দলে আমার অনেক কাজ থাকে। আমি শোকজের উত্তর দেব। রাজ্য তৃণমুলের মহিলা সভানেত্রী, মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, এটা দলের কোনও বিষয় না। এটা প্রশাসনিক ব্যাপার। এ বিষয়ে দল কোনও মন্তব্য করবে না।

 

Advertisement