কখনও 'পুলিশকে বোমা মারা'র নিদান, কখনও আবার 'চড়াম চড়াম ঢাক' বাজানোর বার্তা। কখনও 'গুড় বাতাস নকুলদানা' খাওয়ানোর ঘোষণা তো কখনও আবার 'খেলা হবে' বলে হুঁশিয়ারি। রয়েছে আরও অনেক। ভোট মানেই বিভিন্ন ধরনের গরমাগরম শব্দবন্ধ শোনা যার তাঁর মুখ থেকে। তার জন্য কখনও সংবাদমাধ্যমের প্রবল সমালোচনা, কখনও আবার কমিশনের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। তাতে অবশ্য থোরাই কেয়ার তাঁর। তিনি থাকেন তাঁর নিজস্ব ছন্দে, স্বকীয় মেজাজে। বঙ্গ রাজনীতিতে তাঁর উপস্থিতি অতিবড় বিরোধীও অস্বীকার করতে পারবেন না। তিনি বীরভূমের (Birbhum) তৃণমূল (TMC) জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal), দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্নেহের কেষ্ট। পঞ্চায়েত থেকে লোকসভা, যে নির্বাচনই হোক না কেন, জেলায় চ্যালেঞ্জ করে দলকে জেতানো কার্যত অভ্যাসে পরিণত হয়েছে তাঁর। আগামী ২৯ তারিখ বীরভূমে নির্বাচন। ভোটগ্রহণ হবে জেলার ১১টি আসনে। তার জন্য রণনীতি ঠিক করতে ব্যস্ত তিনি। তারই মাঝে কথা বললেন আজতক বাংলার সঙ্গে।
আজতক বাংলা - বিজেপির দাবি এবার তারা ক্ষমতায় আসছে, জেলায় অমিত শাহ রোড শো করেছেন, ভাল ভিড়ও হয়েছে, আপনার কী মনে হচ্ছে?
অনুব্রত মণ্ডল - "অমিত শাহের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসেছিলেন। ওঁর সভায় ৬০ হাজার লোক হয়েছে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় ৬ লক্ষ লোক হয়েছে।"
নির্বাচনের আগে এত দলবদল হল, অনেকেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গেলেন, আপনার কাছে অফার আসেনি?
"না, আর আমাকে বললেও আমি যাব না।"
দিদির আস্থা কি কেষ্টর ওপরে একই রকম রয়েছে?
"দিদির সব কর্মীর প্রতিই যেমন আস্থা, আমর প্রতিও তেমনই। আমিও একজন কর্মী, কোনও নেতা নই।"
ভোটের সময় আপনার বিরুদ্ধে বিরোধীরা বহু অভিযোগ তোলেন। এবার জেলায় এসপি হয়ে এসেছেন নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী, ভোট পরিচালনা করতে কি তাতে আপনার কোনও অসুবিধা হবে?
"না, তিনি এসপি হয়েছেন এসপির কাজ করবেন।"
জেলায় কটা আসন পাবেন?
"১১টাই পাব'
একটাও বেরোবে না?
"কেন বেরোবে? উন্নয়ন কী করেছে বিজেপি? ৭ বছরে ভারতবর্ষের মানুষকে কী দিতে পেরেছে?"
প্রত্যেক ভোটে নতুন স্লোগান দেন, জনপ্রিয়ও হয়, এবার যদি তৃণমূল জেতে, তাহলে কি নতুন কোনও স্লোগান আনবেন?
"তৃণমূল ক্ষমতায় চলে এসেছে, উন্নয়নের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসবেন, আবার উন্নয়ন হবে। কোনও অশান্তি হবে না, ঝামেলা হবে না।"