scorecardresearch
 

সুজাতার দলবদল-শতাব্দীকে আটকানো, কুণাল-সৌগত জুটিই এখন TMC-র 'মুশকিল আসান'?

শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যাওয়ার পরেই শাসকদল তৃণমূলের অনেক নেতাই বেসুরো হয়েছেন। অনেকে বিজেপিতে গিয়েছেন, অনেক রাজনৈতিক অবস্থান এখনও বোঝা সম্ভব হয়নি। বেশ কয়েকজনকে আবার বুঝিয়ে পরিস্থিতির মোকাবিলা করা গিয়েছে। এমন অবস্থায় বেসুরো বোঝানোর দায়িত্বে তৃণমূলের তরফ থেকে দুজনকেই মূলত উদ্যোগ নিতে দেখা যাচ্ছে।

Advertisement
সৌগত রায় ও কুণাল ঘোষ। ফাইল ছবি সৌগত রায় ও কুণাল ঘোষ। ফাইল ছবি
হাইলাইটস
  • কুণাল-সৌগত জুটিই এখন TMC-র 'মুশকিল আসান'?
  • একাধিক ইস্যুতে দায়িত্ব পালন করেছেন তাঁরা
  • শতাব্দী-প্রসূনকে বোঝানোর দায়িত্ব সামলেছেন তাঁরা

শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যাওয়ার পরেই শাসকদল তৃণমূলের অনেক নেতাই বেসুরো হয়েছেন। অনেকে বিজেপিতে গিয়েছেন, অনেক রাজনৈতিক অবস্থান এখনও বোঝা সম্ভব হয়নি। বেশ কয়েকজনকে আবার বুঝিয়ে পরিস্থিতির মোকাবিলা করা গিয়েছে। এমন অবস্থায় বেসুরো বোঝানোর দায়িত্বে তৃণমূলের তরফ থেকে দুজনকেই মূলত উদ্যোগ নিতে দেখা যাচ্ছে। একজন সৌগত রায় অপরজন কুণাল ঘোষ। সুজাতার তৃণমূলে যোগদান থেকে শুরু করে সম্প্রতি শতাব্দীকে রাজি করানো সবকটাই দায়িত্বের সঙ্গে পালন করেছেন তাঁরা।

শতাব্দী-প্রসূণকে সামলানো

কয়েকদিন আগেই ফেসবুকে বিস্ফোরক পোস্ট করেন তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেত্রী শতাব্দী রায়। তারপরেই শুরু হয়ে যায় তাঁর বিজেপি যোগের জল্পনা। এমনকি দিল্লিতে গিয়ে তিনি অমিত শাহের সঙ্গে দেখাও করতে পারেন, এমনটাই শোনা যায়। কিন্তু তার আগেই নড়েচড়ে বসে তৃণমূল। শতাব্দীর সঙ্গে ফোনে কথা হয় সৌগত রায়ের। পরে শতাব্দীর বাড়িতে গিয়ে তাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন কুণাল ঘোষ। তিনিই মূলত শতাব্দীকে নিয়ে আসেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। সেখানে বৈঠক শেষে শতাব্দী জানান, তার কোনও সমস্যা নেই, তিনি তৃণমূলেই রয়েছেন। তৃণমূল সাংসদ প্রসূণ বন্দ্যোপাধ্যায় বেসুরো হয়ে যান দিন দুয়েক আগে। তাকেও ফোন করে বুঝিয়ে পরিস্থিতি ঠিক করেন সৌগত রায়। শুধু তাই নয়, শুভেন্দু অধিকারী-সহ একঝাঁক নেতা বিজেপিতে যাওয়ার পরে পাল্টা সৌমিত্র খাঁয়ের স্ত্রী সুজাতা খাঁকে বিজেপিতে যোগদান করান কুণাল ও সৌগতই। 

আরও পড়ুন, কুণাল-সৌগতর পরে এবার শতাব্দীর মান ভাঙাতে আসরে অভিষেক

সক্রিয় সৌগত-কুণাল

রাজনৈতিক মহলের মতে, যখন তৃণমূলের একাংশে ভাঙণ ধরিয়ে ক্ষয় ধরাতে চাইছে গেরুয়া শিবির। তখনই পাল্টা বিজেপির রাস্তায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন সৌগত ও কুণাল। এমনকি শুভেন্দু অধিকারীকে ঘিরে যখন জল্পনা তীব্র ছিল। তখনও সৌগত রায়কেও মূলত উদ্যোগ নিতে দেখা গিয়েছিল আলোচনা করার। সৌগতবাবুই মূলত দায়িত্ব নিয়ে শুভেন্দুর সঙ্গে ৩ বার বৈঠকও করেন। যদিও পরে শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দেন। শাসকদলের অন্দরে যখনই দেখা যাচ্ছে কোথাও বেসুরো হওয়ার ইঙ্গিত, তখনই সক্রিয় হচ্ছেন সৌগত-কুণালরা। শুধু তাই নয়, একাধিক সভায় বিজেপির বিরুদ্ধে একের পর এক আক্রমণও করছেন তারা। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী দিনে সৌগত ও কুণাল ভালোই বেগ দিতে পারে বিজেপি শিবিরকে। বিষয়টি অজানা নয় গেরুয়া শিবিরেরও।

Advertisement

Advertisement