scorecardresearch
 

বঙ্গ ভোট নিয়ে মিমের অবস্থান কি ভাবাচ্ছে মমতাকে?

আসাউদ্দিন ওয়েইসি (Asauddin Owaisi)-র দল অল ইন্ডিয়া মজলিসে ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (AIMIM বা মিম)-কে সমঝে চলছে রাজ্যের সব দল। কারণ সংখ্যালঘু ভোটব্যাংকে ফাটল ধরলে বিপদে পড়তে পারে শাসকদল তৃণমূল (TMC)। আর সুবিধা পেয়ে যেতে বিজেপি (BJP)। এমনই বিশ্লেষণ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া মজলিস-এ ইত্তেহাদুল মুসলিমিন-এর প্রধান আসাউদ্দিন ওয়েইসি অল ইন্ডিয়া মজলিস-এ ইত্তেহাদুল মুসলিমিন-এর প্রধান আসাউদ্দিন ওয়েইসি
হাইলাইটস
  • মিম-কে সমঝে চলছে রাজ্যের সব দল
  • সংখ্যালঘু ভোটব্যাংকে ফাটল ধরলে বিপদে পড়তেপারে শাসকদল তৃণমূল
  • আর সুবিধা পেতে পারে বিজেপি

আসাউদ্দিন ওয়েইসি (Asauddin Owaisi)-র দল অল ইন্ডিয়া মজলিসে ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (AIMIM বা মিম)-কে সমঝে চলছে রাজ্যের সব দল। কারণ সংখ্যালঘু ভোটব্যাংকে ফাটল ধরলে বিপদে পড়তে পারে শাসকদল তৃণমূল (TMC)। আর সুবিধা পেয়ে যেতে বিজেপি (BJP)। এমনই বিশ্লেষণ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

যদিও অনেকের বক্তব্য, বিজেপিকে সুবিধা করে দিতেই মাঠে নেমেছেন আসাউদ্দিন ওয়াইসি এবং তার দল অল ইন্ডিয়া মজলিস-এ ইত্তেহাদুল মুসলিমিন। তবে তিনি আগেই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

বিহার বিধানসভা ভোটে পাঁচটি আসন জয় করার পরপরই তিনি ঘোষণা করে দিয়েছিলেন, লড়বেন বাংলার বিধানসভা ভোটেও। আর তারপর থেকেই দিন গুনছিল রাজ্যের রাজনৈতিক মহল। তিনি কবে রাজ্যে আছেন, কী করেন, কী বার্তা দেন তার অপেক্ষায় ছিল সবাই।

মিম বেশ কিছু দিন আগে থেকে এ রাজ্যে নিজের কাজ করা শুরু করে দিয়েছে। বিভিন্ন জেলায় সংগঠন গোছানোর কাজে নেমে পড়েছে তারা। তেমনই কর্মিসভা, সভাও করতে শুরু করে দিয়েছেন। 

রাজনৈতিক মহলের মতে, মিমকে মোটেই হেলাফেলা করতে পারবে না তৃণমূল। আর সে কারণেই মিমের ঘর ভাঙ্গানোর কাজ শুরু করেছিল। মিম-এর নেতা আনোয়ার পাশাকে দিয়ে যার শুরু। যদিও বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ মিম। তাদের পাল্টা দাবি, তৃণমূল থেকে তো বটেই অন্য রাজনৈতিক দল থেকেও তাদের দলে যোগ দেওয়ার প্রবণতা শুরু হয়েছে। 

রাজ্যের কমবেশি ১০০টি বিধানসভা কেন্দ্রে সংখ্যালঘু ভোট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই সব আসনের বেশিরভাগ কলকাতা, মুর্শিদাবাদ, মালদা, উত্তর দিনাজপুর, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বীরভূম জেলায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। এছাড়া রাজ্যের আরও কয়েকটা জেলার কিছু আসনেও সংখ্যালঘু ভোট একটা বড় ফ্যাক্টর।

সাধারণত দেখা যায় শাসকদলের কাছাকাছি থাকতে পছন্দ করেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। রাজনৈতিক মহলের দাবি, মুসলিমরা এখন তৃণমূলের পক্ষে রয়েছেন। তবে অভিযোগ, ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতে তৃণমূল তোষণের রাজনীতি নিয়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মনে শাসকদলের বিরুদ্ধে কোনও ক্ষোভ থেকে থাকলে, সেটাকে কাজে লাগাতে চাইছেন আসাউদ্দিন।

Advertisement

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ব্যাখ্যা, এতদিন মিমের গন্ডি ছিল হায়দ্রাবাদ। হায়দ্রাবাদ পুরসভার ভোট ভাল ফলও করেছে। কিন্তু সব আসনে প্রার্থী দেয়নি। ৫১টি ওয়ার্ডে লড়েছিল, জিতেছিল ৪৪টিতে। বিহার বিধানসভায় লড়েছিল ২০টি আসনে। তারপরও তারা বাংলায় কী করে নিজেদের শক্তি জাহির করার চেষ্টা করছে, তা নিয়ে বিভিন্ন মত উঠে আসছে। এখানে নিজেদের সংগঠন করতে সময় লাগবে। তাই তারা মুসলিম সম্প্রদায়ের নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাত ধরতে প্রস্তুত। জানা গিয়েছে, তাঁকে দলের সভাপতি করা হতে পারে। আসাউদ্দিন ওয়াইসির ঘোষণা, তিনি আব্বাস সিদ্দিকর সঙ্গে রয়েছেন। তিনি যা বলবেন, তা মেনে চলবে তাঁর দল।

আর এখানেই চিন্তার ভাঁজ শুরু হয়েছে তৃণমূলের। কারণ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বেশির ভাগ ভোট যায় তৃণমূলের পক্ষে। এখানে ভাগ বসলে তাদের সমস্যা বাড়বে। আর সুবিধা হবে বিজেপির। অনেকের মতে, যেমনটা হয়েছে বিহারের বিধানসভা ভোটে।

Advertisement