scorecardresearch
 

তৃণমূলকে বিঁধতে তথ্য়ই ভরসা, টুইটবান অমিতের

দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বিজেপি নেতা অমিত মালব্য (Amit Malviya) বাংলার শাসকদল তৃণমূলকে (TMC) আক্রমণ করছেন। তবে সে কাজ করছেন সুচারু ভাবে। তৃণমূলের সমালোচনা করতে গিয়ে তিনি বার বার ভরসা করছেন সরকারি তথ্যের ওপর।

Advertisement
বিজেপি নেতা অমিত মালব্য বিজেপি নেতা অমিত মালব্য
হাইলাইটস
  • মমতা সরকারকে মালব্য়ের আক্রমণ
  • অস্ত্র সরকারি তথ্য, পরিসংখ্য়ান
  • বিভিন্ন ইস্য়ুতে রাজ্য সরকারের সমালোচনা

দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বিজেপি নেতা অমিত মালব্য (Amit Malviya) বাংলার শাসকদল তৃণমূলকে (TMC) আক্রমণ করছেন। তবে সে কাজ করছেন সুচারু ভাবে। তৃণমূলের সমালোচনা করতে গিয়ে তিনি বার বার ভরসা করছেন সরকারি তথ্যের ওপর। যাতে তাঁর সমালোচনা আরও যুক্তিপূর্ণ হয়।

টুইটে তিনি বিভিন্ন ইস্য়ুতে রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেছেন। আর এ কাজে ব্যবহার করেছেন সরকারি তথ্য। যাতে তাঁর দাবির বিশ্বাসযোগ্যতা থাকে। তিনি যে নেহাত সমালোচনা করার জন্য সমালোচনা করছেন, তা যেন কেউ বলতে না পারেন। আর তাই সরকারি তথ্য, পরিসংখ্য়ানের ওপর ভরসা রেখেছেন। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কর্মসংস্থান-সহ বিভিন্ন বিষয়ে তিনি লাগাতার বিঁধেছেন শাসকদলকে। তবে তৃণমূলও পাল্টা আক্রমণ করেছে তাঁকে।

যেমন শনিবার রাজ্যের জন প্রতি আয় নিয়ে তিনি রাজ্যের সমালোচনা করেছেন। তাঁর কথায়, "পিসি আর তাঁর অযোগ্য ম্যানেজাররা মনে করেন মানুষকে বিভ্রান্ত করে সরকারের খারাপ ফলের কথা ভুলিয়ে দেওয়া যাবে। আমি খালি একটা কথাই জানতে চাই। মাথাপিছু আয়ের নিরিখে ২০১৮-১৯ সালে ৩২টি রাজ্যের মধ্যে বাংলার জায়গা ২২তম ছিল কিনা, বলুন? বাংলার মানুষ তা জানতে চায়..."

বেশ কয়েকদিন আগে তিনি টুইটে লিখেছিলেন, "মমতা ব্যানার্জি তাঁর মুখ্যমন্ত্রীত্বের মেয়াদ শেষের পর্যায়ে এসে ৩৫ লক্ষ চাকরির প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন! কিন্ত বাস্তব হল তৃণমূল কংগ্রেসের দুর্নীতি এবং সিন্ডিকেট-রাজের জন্য যে চাকরি ছিল, তা-ও ছিনিয়ে নিয়েছিল যুবক-যুবতীদের কাছ থেকে।"

Advertisement

তাঁর দাবি, "সিএমআইই (CMIE)-এর তথ্য অনুযায়ী ২০১৬ অক্টোবর থেকে ২০২০ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে বেকারত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে ২১৭ শতাংশ।"

এর আগে অমিত মালব্য দাবি করেছেন, পিসি স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে ব্যর্থ। আবারও তার প্রমাণ পাওয়া গেল। তিনি লিখেছেন, "কেন্দ্রীয় সরকার জাতীয় আয়ুশ মিশন থেকে ৯৪.৯ কোটি টাকা পাঠিয়েছে। তবে মমতা সরকার সেই টাকা খরচ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এর মধ্যে সরকার ৪৮.১৭ কোটি টাকা খরত করতে পেরেছে।" বাকি টাকা খরচ করতে পারলে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি হত বলে মতে তাঁর।

Advertisement