একুশের বিধানসভা ভোটে বিপুল জয় পেয়েছে তৃণমূল। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রাম কেন্দ্র থেকে হেরে গিয়েছেন। তিনি সেখানকার তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন। বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হেরে গিয়েছেন।
নিয়ম অনুসারে, মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকতে শপথ নেওয়ার ছয় মাসের মধ্যে কোনও বিধানসভা আসন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিতে আসতে হবে। অর্থাৎ উপনির্বাচনের ওপর তাকে নির্ভর করতে হবে।
এই নিয়ে দ্বিতীয় বার তাঁকে উপনির্বাচনে জিতে মুখ্যমন্ত্রী হতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ২০১১ সালে প্রথমবার যখন তিনি মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন, তখন তাঁকে উপনির্বাচনে জিতে আসতে হয়েছিল। কারণ তিনি বিধায়ক ছিলেন না। তিনি ছিলেন সাংসদ। ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন।
তিনি তখন দক্ষিণ কলকাতার সাংসদ ছিলেন। তাঁর পদ ছাড়ার পর ওই কেন্দ্রে তৃণমূলের হয়ে লড়েছিলেন সুব্রত বক্সি। তিনি জিতেছিলেন।
২০১৬ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে লড়েছিলেন। জিতেছিলেন এবং মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। ২০২১ সালে তিনি ঠিক করেন, ভবানীপুর নয়, তিনি লড়বেন নন্দীগ্রাম কেন্দ্র থেকে। তিনি সেই কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। তবে তিনি জিততে পারেননি।
এখন তাঁকে ভরসা করতে হবে উপনির্বাচনের ওপর। দেখা যাক, তিনি কোন আসনে উপনির্বাচনের দাঁড়ান। মনে করা হচ্ছে খড়দা বিধানসভা কেন্দ্রে তিনি উপনির্বাচনে লড়তে পারেন।
সেখানকার তৃণমূলের প্রার্থী কাজল সিনহা প্রয়াত হয়েছেন। তবে ভোটে তিনি জয়ী হয়েছেন। সেই ফল দেখে যেতে পারলেন না তিনি।
মনে করা হচ্ছে, প্রয়াত কাজলবাবুর আসনে তিনি ভোটে লড়তে পারেন। এর কারণ ভোটের ফলাফল শুধু নয়, কাজলবাবুর প্রতি সম্মানও দেখানো যাবে।
এদিকে, বাংলার 'বাঘিনী'কে শুভেচ্ছা জানালেন বিজেপি বিরোধী দলের নেতারা। মুখ্যমন্ত্রী, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুভেচ্ছা জানান দেশের বিরোধী দলের নেতারা। টুইটে তাঁরা শুভেচ্ছা জানান। বাংলার মানুষকেও শুভেচ্ছা জানিয়েছন তাঁরা।
এনসিপি নেতা শারদ পাওয়ার টুইটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। শারদ পাওয়ার বলেছেন, আপনার এই জয়ের জন্য শুভেচ্ছা। মানুষের জন্য যে কাজ আমরা করছিলাম এবং করোনা মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করছিলাম, চলুন সেই কাজ আমরা করতে থাকি।
এদিন শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত টুইট করেন। সেখানে তিনি বলেন, বাংলার 'বাঘিনী'কে শুভেচ্ছা। ও দিদি দিদি ও দিদি। উল্লেখ্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলায় ভোট প্রচারে 'দিদি ও দিদি' বলেছিলেন নিয়ে বিতর্কও তৈরি হয়।