তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় (Sukhendu Sekhar Roy)-কে অবিলম্বে দেশদ্রোহী মামলায় গ্রেপ্তার করা উচিত। এমনই দাবি জানিয়েছেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং ( Arjun Singh)।
অর্জুনের মতে "তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় যে তথ্য দিয়ে মাননীয় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতির কাছে নালিশ করেছেন, তা সংবিধানবিরোধী। সুখেন্দু একজন আইনজীবী হয়েও তিনি যে আচরন করেছেন, এজন্য তাঁর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহী মামলা হওয়া উচিত।"
বুধবার সন্ধ্যায় উত্তর ২৪ পরগনা জেলার নৈহাটিতে বিজেপির এক সভায় উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই মন্তব্য করেন অর্জুন।
বিজেপি সাংসদের দাবি, "আজ পর্যন্ত রাজ্যপাল যে কথা বলেছেন, তার সবটাই সংবিধানের অন্তর্গত এবং সংবিধানকে সম্মান জানিয়েই তিনি প্রতিটা কথা বলেছেন। তিনি একজন শিক্ষিত ব্যক্তি এবং প্রত্যেকটা পরীক্ষাতে তিনি প্রথম হয়েছিলেন। এমন একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে মাত্র দুশো টাকার উকিল সুখেন্দু রায় এই অভিযোগ করছেন।"
রাজ্যপালের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলেও এদিন দাবি করেন অর্জুন সিং। তিনি বলেন "রাজ্যপাল বড় মনের মানুষ, তা না হলে শুখেন্দুশেখর রায়কে এখনই অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা উচিত ছিল।"
এদিকে, রাজ্যপাল জগদীপ ধানখড়ের অপসারণ চেয়ে এবার রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি পাঠালেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যপাল জগদীপ ধানখড়ের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দাগেন তিনি।
সুখেন্দুশেখরের অভিযোগ, রাজ্যপাল সংবিধানের নিয়মকানুনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে একের পর এক মন্তব্য করে চলেছেন। ভারতের আর কোনও রাজ্যপাল এমন আচরণ করছেন না। সাংবিধানিক রীতিনীতি লঙ্ঘন করে চলেছেন উনি। দিল্লির শাহেনশাদের নির্দেশে এসে রাজনৈতিক এজেন্ডা পালন করছেন।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতির কাছে মোট ৬ পাতার স্মারকলিপি জমা দিয়েছি। মুখ্যমন্ত্রীকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার কথা বলেছেন রাজ্যপাল। স্পিকারকে নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। এমনকি বিধানসভার কাজ নিয়ে কথা বলছেন, আবার শিল্প সম্মোলনের হিসাব চাই তাঁর। কে অধিকার দিয়েছে এসবের। বিধাসভার মর্যাদাহানি করেছেন উনি। নির্বাচন সুষ্ঠ ভাবে সম্পন্ন হওয়ার দ্বায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। এটি একটি সাংবিধানিক সংস্থা। এই নিয়ে রাজ্যপালের তো কিছু বলার থাকে না। সুপ্রিম কোর্টের একটি নির্দেশে বলা হয়েছে রাজ্য সরকারের কাজকর্মে রাজ্যপালের সহযোগিতার কথা। প্রকাশ্যে সমালোচনা করা যায় না। কিন্তু এখানে উল্টোটা হচ্ছে। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছি আমরা। সংবিধান মানছেন না রাজ্যপাল। তাঁকে অপসারণের দাবি জানিয়োছি আমরা। রাজ্যপাল একের পর এক ভুয়ো অভিযোগ করে চলেছেন।