বৃহস্পতিবার তোলাবাজ ইস্যুতে শুভেন্দু ও অভিষেক একের অপরের উদ্দেশ্যে আক্রমণ শানালেন। কিন্তু কেউ কার্যত কারোর নাম নিলেন না। গঙ্গারামপুরের সভা থেকে অভিষেক আক্রমণ করে বলেন, টিভির পর্দায় কাকে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে। পরে বিজেপির সভা থেকে শুভেন্দুর প্রশ্ন, বিনয় মিশ্রের সঙ্গে আপনার সম্পকটা ঠিক কী ?
শুভেন্দুর আক্রমণ
এদিন সভামঞ্চ থেকে শুভেন্দু বলেন, তোলাবাজ ভাইপো তো বলছে তোলাবাজরা সব বিজেপিতে গেছে। আপনার বিনয় মিশ্র কোথায়? আপনার বিনয় মিশ্রকে তো আপনি ২০১৩ সালে নিযুক্ত করলেন বিনয় মিশ্রকে। ভাইস প্রেসিডেন্ট রাজ্য তৃণমূল, যুবা। একটা দলে কী করে দুটো যুব সংগঠন থাকতে পারে। গত জুলাই মাসে ট্যুইট করলেন পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল যুব কংগ্রেসের ৭ নম্বর জেনারেল সেক্রেটারি। তিনি গরু ও কয়লা দুটোতেই আছে। ওর ৫টা বাড়িতে সিবিআই হানা দিয়েছে, বলতে হবে তো বিনয় মিশ্রের সঙ্গে তোমার সম্পর্কটা কী ? বাংলার মানুষ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জানতে চায়, বিনয় মিশ্রকে রাজ্য পুলিশের সিকিউরিটি দিয়ে রেখেছিলেন কেন। মানুষ সব জেনে গিয়েছে কাটমানি কোথায় যায়।
আরও পড়ুন, উপসর্গহীন করোনার সঙ্গে তুলনা, অভিষেকের নিশানায় শুভেন্দুর পরিবার
পাল্টা নিশানা অভিষেকের
এদিন সভামঞ্চ থেকে অভিষেক বলেন, "টিভির পর্দায় কাকে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে। তাহলে আসল তোলাবাজ কে? এখন নিজের পরিবারে পদ্মফুল ফোটাতে পারছ না, আবার বাংলায় পদ্ম ফোটানোর স্বপ্ন দেখছো। এরা হল উপসর্গহীন করোনার মতো বেইমান। দলে খেয়ে-পড়ে দলের সঙ্গে গদ্দারি করছে। আমি বলেছিলাম, নিজের পরিবারের কাউকে পদ্মে যোগদান করাতে পারছ না। তারপরেই দেখি একভাইকে নিয়ে এসে যোগ করিয়ে দিল। এতে প্রমাণ হয়, তোমার পরিবারে আরও এমন উপসর্গহীন করোনার মতো বেইমান কেউ থাকতে পারে, তাদের ধরে ধরে তুমিই আইসোলেশনে পাঠাচ্ছ। এতে অবশ্য আমাদেরই সুবিধা হল। তৃণমূল কর্মীরাই এখন চিনতে পারছেন সবাইকে।"
তৃণমূলকে তোপ শুভেন্দুর
এদিন সভা থেকে শুভেন্দু বলেন, "কয়েকদিন আগেই তো শুনতাম স্বাস্থ্যে আমরা প্রথম, তাহলে লাইনে দাঁড়িয়ে কেন স্বাস্থ্যসাথী কার্ড কেন করালেন। কেন্দ্রের সব প্রকল্পের নাম ওরা বদলে গিয়েছে। তৃণমূল একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে পরিণত হয়েছেন। যাদের আত্মসম্মান বোধ রয়েছে, তারা ওখানে থাকতে পারেন না। ২২টা সাংসদের পরে ১১টা দক্ষিণ কলকাতার "