scorecardresearch
 

শুভেন্দু বিজেপিতে আসতে চাইলে স্বাগত, বললেন দিলীপ

শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে আসতে চাইলে তাঁকে স্বাগত জানানো হবেন। শুভেন্দুর মন্ত্রীপদ থেকে পদত্যাগের একঘণ্টার মধ্যেই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। সেইসঙ্গে তৃণমূলের উদ্দেশ্যে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, এবারও ওই দলের শেষের শুরু।

Advertisement
বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। প্রতীকী ছবি বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। প্রতীকী ছবি
হাইলাইটস
  • শুভেন্দুকে দলে স্বাগত, জানালেন দিলীপ
  • তৃণমূলকে কটাক্ষ দিলীপের
  • তৃণমূলের শেষের শুরু, মন্তব্য দিলীপের

শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে আসতে চাইলে তাঁকে স্বাগত জানানো হবেন। শুভেন্দুর মন্ত্রীপদ থেকে পদত্যাগের একঘণ্টার মধ্যেই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। সেইসঙ্গে তৃণমূলের উদ্দেশ্যে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, এবারও ওই দলের শেষের শুরু।

কী বললেন দিলীপ ঘোষ

এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন,  "দেখুন আগে থেকেই সূচনা আসছিল, শুভেন্দুবাবু পার্টি ছাড়তে পারেন, গুঞ্জন চলছিল। আর এটা হওয়ারই ছিল। কারণ ওই দলে থাকার মতো পরিবেশ নেই। আমি বলেছিলাম মুষলপর্ব শুরু হয়ে গিয়েছে তৃণমূলের। এটা শেষের শুরু হল তৃণমূলের। দলটাই উঠে যাবে, কারণ যেভাবে স্বৈরাচারী পদ্ধতিতে এই দল চলছে তা পশ্চিমবঙ্গের মতো গণতাণন্ত্রিক প্রিয়া রাজ্যে তা কাম্য নয়। আমাদের লোকেরা যাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা যায়, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। অর্জুন দা বলেছেন , ৫ জন সাংসদ নাকি দলে আসতে চান। নিশ্চয়ই তাঁর সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করেছেন। মিহির গোস্বামী শুনলাম দিল্লি গিয়েছেন, সেখানে নাকি আনুষ্ঠানিক ভাবে দলে যোগ দিতে পারেন। যাদের ওখানে দমবন্ধ করার মতো পরিস্থিতি ছিল, তারা আগে থেকেই সূচনা ও সংকেত দিচ্ছিলেন। এখন ছাড়তে শুরু করেছেন। শুভেন্দুবাবু যদি আমাদের দলে যোগ দিতে চান, নিশ্চয়ই তাকে আমরা দলে নেব। আমি নিশ্চয়ই ওনার সঙ্গে কথা বলতে পারি। কিন্তু এখনও ওনার সঙ্গে কোনওরকম কথা হয়নি এখনও পর্যন্ত। শুভেন্দুবাবু এবার যদিও ওই দল ছাড়েন, তাহলে ওনার মতো  অনেকে এমন যুব নেতা রয়েছেন, যারা বাংলার জন্য লড়াই করেছেন তারাও ওই দল ছাড়বেন। তৃণমূলের সংগঠন বলে কিছু নেই। এটা একটা মেলা, সার্কাস পার্টি। মালিক আছে, ডিরেক্টর-প্রোডিউসার আছেন। বাকিরা সবাই কর্মচারী। যারা সম্মানের সঙ্গে ওখানে কাজ করতে পাচ্ছেন না, বিজেপিতে যোগ দিন, আমরা তাদের স্বাগত জানাব।"

Advertisement

মন্ত্রী থেকে ইস্তফা শুভেন্দুর

প্রসঙ্গত, রাজ্যের শাসকদলের সঙ্গে বেশ কয়েকদিন ধরেই দূরত্ব বাড়ছিল শুভেন্দু অধিকারীর। শুক্রবার তিনি মন্ত্রীপদ থেকেই ইস্তফা দিয়ে দেন। তার পরেই রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল জল্পনা।

Advertisement