মুকুল রায় কোনোদিন কোনো নির্বাচনে জয়লাভ করেনি,আমরা তাকে হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে মানছি না,আজ দলীয় নেতৃত্ব কে সঙ্গে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভার প্রার্থী কৌশানি বন্দোপাধ্যায়
বৃহস্পতিবার ১৪৮ জনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। আর তাতে সবচেয়ে বড় চমক বোধহয় মুকুল রায়। কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্রে ভোটে লড়বেন তিনি। প্রায় কুড়ি বছর পর ফের একবার ভোট ময়দানে নিজের কপাল যাচাই করতে নামছেন মুকুল। তবে রাজ্য রাজনীতিতে মুকুল পরিচিত নাম হলেও তাঁকে বাড়তি গুরুত্ব দিতে নারাজ প্রতিদ্বন্দী কৌশানী মুখোপাধ্যায়। বরং মুকুলকে একেবারেই হেভিওয়েট প্রার্থী মনে করেন না কৃষ্ণনগর উত্তরের তৃণমূলের তারকা প্রার্থী।
এবার যেসব বিধানসভাগুলির দিকে নজর থাকবে তারমধ্যে অন্যতম নদিয়ার কৃষ্ণনগর উত্তর। এখানে একদিকে যেমন তৃণমূল দাঁড় করিয়েছে টলিউড নায়িকা কৌশানীকে তেমনি পাল্টা হিসাবে বিজেপি দাঁড় করিয়েছে পোড়খাওয়া মুকুল রায়কে। একদিকে গ্ল্যামারের সঙ্গে দুঁদে রাজনীতিকের লড়াইয়ে কে জেতেন সেদিকে বাড়তি আগ্রহ থাকবে সকলেরই। তবে রাজনীতির ময়দানে প্রথমবার নেমে কৌশানী মুকুল রায়কে একেবারেই পাত্তা দিতে নারাজ। শুক্রবার দলীয় নেতৃত্বকে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন কৌশানী। সেখানে তৃণমূলের তারকা প্রার্থী বলেন, "মুকুল রায় কোনোদিন কোনো নির্বাচনে জয়লাভ করেননি,আমরা তাঁকে হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে মানছি না।" সেইসঙ্গে কৃষ্ণনগর উত্তরের তৃণমূল প্রার্থী আরও বলেন, 'আমাদের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী একসঙ্গে ২৯৪ টি আসনের প্রার্থী ঘোষণা করেছিলেন কিন্তু বিরোধীদের ক্ষেত্রে প্রার্থী সংখ্যা এতই কম যে তাদের সাংসদদেরও বিধানসভা ভোটে দাঁড় করাতে হচ্ছে।' কৌশানী দাবি করেন, বিজেপির হাতে কোন প্রার্থী নেই তাই তারা ভাগ করে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করছে। বাংলার মানুষ বহিরাগতদের বিতাড়িত করবে। পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে যে উন্নয়নের জোয়ার চলছে তার ফলস্বরূপ এই নির্বাচন মানুষ পুনরায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নির্বাচিত করবে এবং তৃতীয় বারের জন্য ফের মুখ্যমন্ত্রী হবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য ২০০১ সালে তৃণমূলের হয়ে জগদ্দলে প্রার্থী হয়েছিলেন মুকুল। কিন্তু সে অভিজ্ঞতা সুখের হয়নি। এরপর আর ভোটে দাঁড়াননি মুকুল রায়। তবে ২০০৬ সালে তিনি রাজ্যসভার সাংসদ হয়েছিলেন। বাজপেয়ী মন্ত্রিসভার মন্ত্রীও হন। রেলের মতো মন্ত্রকও সামলান মুকুল রায়। তাই বাড়তি নজর থাকবে দীর্ঘদিন পর ভোটে দাঁড়িয়ে তিনি কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্রে জয়ী হতে পারেন কী না। এদিকে অভিনেত্রী কৌশানী মুখোপাধ্যায়কে প্রার্থী করায়, কৃষ্ণনগরে তৃণমূলের অন্দরেই অসন্তোষ রয়েছে বলে খবর। তাঁকে প্রার্থী করা নিয়ে ‘বহিরাগত’ বিতর্কও উঠেছে। তবে সেসবে পাত্তা না দিয়েই নিয়মিত প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন কৌশানী। মুকুল রায়ের মত দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা সম্পন্ন প্রতিদ্বন্দ্বীকেও যে তিনি পাত্তা দিতে রাজি নন, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন টলিউডের এই গ্ল্যামার কুইন।