কয়েক মুহূর্ত পর থেকেই শুরু হবে নির্বাচন গণনা শুরু হবে। তার আগেই মাথাভাঙায় চাঞ্চল্য। তাজা বোমা উদ্ধারকে ঘিরে তোলপাড়। ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা থামার পরই থমথমে হয়ে রয়েছে এলাকা। কি উদ্দেশ্যে এই বোমা ফেলা হয়েছিল, তা নিয়ে এখনও ধন্দে। সামনেই এক তৃণমূল নেতার বাড়ি। তাঁকে উদ্দেশ্য করে বোমা ফেলা হয়েছিল কি না, অথবা তৃণমূলের তরফে বোমা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল কি না, কিংবা সম্পূর্ণ অন্য কোনও উদ্দেশ্য কি না, তা নিয়ে ধন্দ রয়েছে।
সাধারণ মানুষের মনে আতঙ্ক গ্রাস করেছে। বাড়তি সতর্ক গণনাকারীরা। পুলিশ, প্রশাসনের মাথাব্যথা বেড়ে গিয়েছে বহুগুণ। সতর্ক থাকতে হচ্ছে সব দলের এজেন্টদের। বিশেষ করে বিজেপি এবং তৃণমূলের মাথাব্যথা বৃদ্ধি পেয়েছে। গণনাকেন্দ্রকে এমনিতেই আঁটোসাটো নিরাপত্তা মোতায়েন করা হয়েছে ৪৮ ঘন্টা আগে থেকেই, এদিনের সকালের ঘটনার পর তা একেবারেই নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় রূপান্তরিত করা হয়েছে।
গণনা শুরু হওয়ার প্রাক মুহূর্তে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে মাথাভাঙায়। রবিবার সকালে মাথাভাঙা শহর লাগোয়া পচাগর এলাকার বাইশগুড়ি স্কুল সংলগ্ন রাস্তার উপর একটি তাজা বোমা দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। ওই বোমাকে ঘিরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। বোমাটি দেশি পেটো জাতীয়।
খবর দেওয়া হয় মাথাভাঙা থানায়। পরে পুলিশ এসে ওই বোমা উদ্ধার করে একটি জলের বালতিতে ডুবিয়ে নিষ্ক্রিয় করার চেষ্টা করে। তাতে নিষ্ক্রিয় হয়েছে কি না জানা যায়নি, তবে এলাকা থেকে বোমাটি সরিয়ে নিয়ে যাওয়ায় এলাকায় খানিকটা স্বস্তি ফিরেছে। তবে পুরোপুরি আতঙ্ক সরেনি।
এদিন গোটা রাজ্যের সাথে মাথাভাঙা কলেজে ভোট গণনা শুরু করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীরা গণনা কেন্দ্রের দিকে রওনা হয়েছিল, সেই মুহূর্তে এমন ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে যে সব কর্মীরা গণনার কাজে নিযুক্ত রয়েছেন তাঁরা বিশেষ ভাবে ভয় পেয়েছেন। নিরাপত্তা কর্মীদের কাছে বিশেষ নিরাপত্তার অনুরোধ করেন। আশ্বাস পাওয়ার পরই তারপর তাঁরা অনেকেই গণনাকেন্দ্রে গিয়েছেন।