রাজনৈতিক মিথ্যে একজন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে মানায় না। বিজেপি চিটিংবাজ পার্টি! সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপিকে এভাবেই আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়।
বিজেপির সমালোচনা
এদিন তিনি নবান্নে বলেন, উনি জানেন তো সোনা, রূপো, তামা কাকে বলে! অস্ত্র, দাঙ্গা, সেকুলার, কমিউনাল কাকে বলে! কাল আমি জবাব দেব। শিল্পে আমরা শূন্য! কেন্দ্রীর সরকারের তথ্য বলছে ছোট, মাঝারি শিল্পতে আমরা এক নম্বর। রাস্তা তৈরিতে এক নম্বর। রাজনৈতিক মিথ্যে একজন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে মানায় না। দল ঠিক করে দিচ্ছে তথ্য। ক্রস চেক করুন। সব কথার তথ্য আছে। বিজেপি চিটিংবাজ পার্টি! রাজনীতির জন্য তারা যা খুশি করতে পারে, বলতে পারে! আমি সাধারণ মানুষ। ওঁর মতো অত শিক্ষিত নই।
অমিত শাহের পাল্টা কর্মসূচি
রবিবার বীরভূমের বোলপুরে কর্মসূচি ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর। তৃণমূল অভিযোগ, তুলেছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অপমান করেছে বিজেপি। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর গলাতেও সেই সুর। তিনি জানান, ২৮ ডিসেম্বর বীরভূম যাব, দলের সাংবাদিক বৈঠক। ২৯ তারিখ মিছিল, বেলা দেড়টা। রবীন্দ্র সংস্কৃতি আমাদের গর্ব- এই বিষয়ে। নজরুল, আম্বেদকর আমাদের গর্ব।
তিনি আরও বলেন, রবীন্দ্র, নজরুলের আন্তর্জাতিক চেতনা আছে। রবীনন্দ্রনাথকে নিয়ে কোনও অবমাননা মানব না। যাঁরা 'জনগণমন' বদলাতে চান, তাদের পরিষ্কার বলে দিন, দেশমাতৃকাকে সমর্পণে ওই গান। তাঁদের ধর্ম চাপিয়ে দেবে, তা মানব না। রক্ত দেওয়ার জন্য তৈরিসব করব আমরা আর তোমরা চামড়া গোটাবে তা তো হয় না। আমি সাধারণ মানুষ। ওঁর মতো অত শিক্ষিত নই।
কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ
এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর্থিক বঞ্চনা নিয়ে ফের কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। তাঁর দাবি, স্বাস্ব্যসাথী পুরো টাকা রাজ্য দেয়। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে মানুষকে টাকা দিতে হয়। কেন্দ্র সরকার কৃষকদের জন্য যে প্রকল্প এনেছে, তা সুবিধা কম মানুষ পাবেন।আমরা ঠিক করেছি, যাঁর ১ কাঠা রয়েছে, তাদেরও সুবিধা দেব। কোভিজ, আগুন ফেস করবে রাজ্য। আর টাকা দেবে, তখন বিজেপি পার্টির ছবি দিয়ে, পার্টি পত্রিকা করে দেবে।
মতুয়ারা এদেশের নাগরিক। তাদের আর আলাদা করে নাগরিকত্বের দরকার পড়বে না। সব করব আমরা আর তোমরা চামড়া গোটাবে তা তো হয় না। আমি সাধারণ মানুষ। ওঁর মতো অত শিক্ষিত নই।
কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রীকে চিঠি
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং টোমরকে চিঠি দিয়েছেন। রাজ্য়ের মারফত যাতে কেন্দ্রীয় সাহায্য কৃষকদের কাছে পৌঁছয়, তার আবেদন করেছেন তিনি।