scorecardresearch
 

কেন্দ্রীয় বাহিনী যেন TMC-র 'কব্জায়' না চলে যায় ! কমিশনকে বার্তা অধীরের

কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) পাঠালেই হবে না। তারা যাতে ঠিক মতো কাজ করতে পারে সে ব্যাাপরে নিশ্চয়তা দিতে হবে। মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন (Election Commission)-এর কাছে এই দাবি করেছেন লোকসভায় কংগ্রেস (Congress)-এর নেতা অধীর চৌধুরি (Adhir Chowdhury)। কেন্দ্রীয় বাহিনী যেন রাজ্যের শাসকদলের 'কব্জায়' না চলে যায়, সে ব্যাপারে কমিশনকে সতর্ক করেছেন তিনি।

Advertisement
কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরি কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরি
হাইলাইটস
  • কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠালেই হবে না। তারা যাতে ঠিক মতো কাজ করতে পারে সে ব্যাপারে নিশ্চয়তা দিতে হবে
  • কেন্দ্রীয় বাহিনী যেন রাজ্যের শাসকদলের 'কব্জায়' না চলে যায়
  • মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের কাছে এই দাবি করেছেন লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা অধীর চৌধুরি

কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) পাঠালেই হবে না। তারা যাতে ঠিক মতো কাজ করতে পারে সে ব্যাাপরে নিশ্চয়তা দিতে হবে। মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন (Election Commission)-এর কাছে এই দাবি করেছেন লোকসভায় কংগ্রেস (Congress)-এর নেতা অধীর চৌধুরি (Adhir Chowdhury)। কেন্দ্রীয় বাহিনী যেন রাজ্যের শাসকদলের 'কব্জায়' না চলে যায়, সে ব্যাপারে কমিশনকে সতর্ক করেছেন তিনি।

রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে লক্ষাধিক আধাসেনা মোতায়েন প্রসঙ্গে অধীর চৌধুরী প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছে, নির্বাচন কমিশনের যেসব আধিকারিকেরা রাজ্যে আসবেন, তারা যে শাসক দলের দ্বারা ম্যানেজ হবেন না, এটা সুনিশ্চিত করা দরকার নির্বাচন কমিশনের। সুষ্ঠ ভাবে নির্বাচন করা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব এবং কর্তব্য। তার মানে এই নয় যে অধিকাংশ কেন্দ্রীয় বাহিনী এলেই ভোট শান্তি পূর্ণ হবে।

তিনি আরও দাবি করেন, রাজ্যে যে সব কেন্দ্রীয় বাহিনী আসে, তারা রাজ্যের দায়িত্বে থাকা শাসক দলের কবজায় চলে যায়। এবং তাদের নির্দেশে চলে। কোন বুথে কি হচ্ছে সেই সব কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজর এড়িয়ে যায়। তাই নির্বাচন কমিশনের উচিৎ আরও বেশি করে জিপিএস সিস্টেম চালু করা।

এদিন অধীর বলেন, আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, বাংলায় নির্বাচন কমিশনকে শাসক দল ম্যানেজ করে নেয়। গত লোকসভা নির্বাচনে আমি নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়ে কোনও সুরাহা হয়নি। আমাদের দাবি সাধারণ মানুষ যেন সুষ্ঠ ভাবে ভোট দিতে পারেন।

জানা গিয়েছে, মে মাসের ৫ তারিখের আগেই রাজ্যের সমস্ত নির্বাচনী প্রক্রিয়া সেরে ফেলতে চায় নির্বাচন কমিশন। প্রসঙ্গত, চলতি সরকারের মেয়াদ মে মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত। ইতিমধ্যে বাংলা সফরে এসে প্রশাসনিক আধিকারিক ও  বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছে নির্বাচন কমিশন। খুব সম্ভবত আজ রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠকে বসবে নির্বাচন কমিশন। এবারের করোনা পরিস্থিতির কথা ভেবে বাংলার বিধানসভার বেশ কিছু বদল আসতে চলেছে।

Advertisement

সম্ভবত, এ বারের পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন হতে পারে ৭ থেকে ৮ দফায়। সেই সঙ্গে বেড়েছে বুথ সংখ্যাও। বাংলায় মোট বুথ সংখ্যা ছিল ৭৮,৯০৩টি। এখন সেটা বেড়ে হয়েছে ১,০১,৭৯০টি। প্রত্যেকটা বুথ গ্রাউন্ড ফ্লোরে থাকবে।

প্রবীণ ভোটারদের সমস্যার করা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত। সমস্ত নির্বাচনী আধিকারিককে পর্যাপ্ত সংখ্যক ইভিএম ও ভিভিপ্যাট দেওয়া হবে।  মুখ্য নির্বাচনী অফিসার সুনীল আরোরা ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন, সিভিক পুলিশকে নির্বাচন প্রক্রিয়াতে ব্যবহার করা হবে না। রাজ্যে পর্যাপ্ত সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনীর মোতায়েনের পক্ষে রয়েছে নির্বাচন কমিশন।

 

Advertisement