বাংলার লড়াইয়ের ময়দান থেকে তৃণমূল পালাচ্ছে। কাগুজে বাঘ তৃণমূলকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এই মন্তব্য করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি, সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরি (Adhir Ranjan Chowdhury)।
পানিহাটির সংযুক্তা মোর্চার কংগ্রেস প্রার্থী তাপস মজুমদারের সমর্থনে একটি কর্মসূচির ফাঁকে এই মন্তব্য করেন অধীর। সেখানে অধীররঞ্জন চৌধুরি (Adhir Ranjan Chowdhury) তৃণমূলকে তুলোধোনা করেন।
শনিবার অধীররঞ্জন চৌধুরি (Adhir Ranjan Chowdhury) বলেন, "একটা জিনিস পরিষ্কার যে এই বাংলার লড়াইয়ের ময়দানে থেকে তৃণমূল পালাচ্ছে। নন্দীগ্রামের ভোটের দিন একটা বুথে দুই ঘণ্টা বসে থেকে রাজ্যপালকে ফোন করে ম্যানেজ করছেন। তৃণমূলের বয়ান অনুযায়ী রাজ্যপাল হলেন বিজেপির মুখপাত্র, বিজেপির দালাল।"
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দাবি, "আর মমতা যখন দেখলেন, তাঁর বাজার খারাপ, তখন রাজ্যপালকে ম্যানেজ করতে গেলেন। এর কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন দলের কর্মীদের ওপর ভরসা হারিয়ে রাজ্যপালের ওপর ভরসা রাখছেন। কিন্তু আমরা রাজ্যপালকে ভরসা করি না। আমরা বাংলার মানুষকে ভরসা করি, তাদের ভোটেই আমরা জিতব।"
অধীররঞ্জন চৌধুরি (Adhir Ranjan Chowdhury) বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তখনই পরাজিত হয়েছেন যখন তিনি রাজ্যপালকে ফোন করে অনুরোধ করতে গেলেন, আমাকে বাঁচান, বুথ বাঁচান, ভোট বাঁচান। অধীরের প্রশ্ন নির্বাচন কমিশন কি ছিল না, প্রশাসন ছিল না?
তাঁর কটাক্ষ, আসলে দিদি বুঝতে পেরেছেন যে তাঁর বিপদ ঘনিয়ে এসেছে। তাই বিপদ ঘনিয়ে আসছে দেখে আপনি বড় দরখাস্ত করেছেন সোনিয়া গান্ধীর কাছে যে আমাকে বাঁচান। আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে হেরে গেছেন।
এদিন অধীররঞ্জন চৌধুরি (Adhir Ranjan Chowdhury) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের আরও সমালোচনা করেন। তাঁর বক্তব্য, এই বাংলায় সাম্প্রদায়িক বিজেপিকে মমতা ঠেকাতে পারবে না। কারণ তিনি এখনই বলছেন, আমার দলের অনেক এমএলএ হবে সেগুলো গদ্দার হবে আবার ওই গদ্দারগুলোকে বিজেপি কিনে নেবে। এখন মমতা যাঁকে এমএলএ বানাচ্ছেন, তাঁকে আবার গদ্দারও বানাচ্ছেন!
কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরি (Adhir Ranjan Chowdhury)-র কটাক্ষ, তৃণমূলের মত কাগুজে বাঘকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। পুলিশ তৃণমূলের সঙ্গে থাকলে তারা বাঘ হয়। কিন্তু সেই পুলিশ সরে গেলে ইঁদুর হয়ে যায়। আজ পুলিশ তৃণমূলের সঙ্গে নেই। তৃণমূলের কথায় তারা উঠে- বসে না। সেখানে নির্বাচন কমিশন ঢুকে পড়েছে।