বাম যুবনেতা মইদুল ইসলাম মিদ্যা (Maidul Islam Mriddha)-র মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। ১১ ফেব্রুয়ারি বামপন্থী ছাত্র যুবরা নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল। তিনি ওই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন।
অভিযোগ, পুলিশের লাঠির ঘায়ে তিনি গুরুতর আহত হয়েছিলেন এবং সোমবার তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর মৃত্যুর ঘটনায় ফেটে পড়েন বাম ছাত্র-যুব কর্মীরা। কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আন্দোলন শুরু করেন তাঁরা। পথ অবরোধ, মিছিল করেন তাঁরা।
অভিযোগ উঠেছে, কলকাতায় তাঁরা পুলিশকে মারধর করেছেন। কলকাতার দুটি জায়গায় তাঁরা পুলিশকে মারদর করেছে বলে অভিযোগ। তাদের দাবি, পুলিশ ময়নাতদন্তের পর মইদুলের মরদেহ দিতে দেরি করেছে। সোমবার রাতে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় ডিওয়াইএফআই (DYFI) রাজ্য দফতর দীনেশ মজুমদার ভবনে।
সেখান থেকে লালবাজারের দিকে যাত্রা শুর হয়। তবে তারা তবে শেষ পর্যন্ত লালবাজার যাননি। কলকাতার সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে বসে পড়েন। সেখানে পথ অবরোধ করেন।
এরপর মঙ্গলবার নিহত সহকর্মীর মৃত্যুর বিচার চেয়ে আন্দোলন শুরু করেন। বাম ছাত্র-যুব ইতিমধ্যে জানিয়েছে, মইদুলের সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ বহন করবেন তাঁরা। অন্যদিকে, রাজ্য সরকার জানিয়েছিল, তার পরিবারকে চাকরি দেওয়া হবে। এ নিয়ে তরজা শুরু হয়েছে।
এদিন কলকাতা-সহ রাজ্যের থানা ঘেরাওয়ের কর্মসূচি নিয়েছিল তারা। এদিন দুপুরে দিল্লির বঙ্গভবন অভিযানের ডাক দিয়েছিল এসএফআই (SFI) সেখানে তুমুল উত্তেজনা তৈরি হয় অন্যদিকে, বুধবার সকালে রেল রোকো কর্মসূচির ডাক দিয়েছে বাম ছাত্র-যুবরা।
বাম ছাত্র যুবদের অভিযোগ, প্রশাসনের তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত মইদুলের বাড়িতে কেউ যাননি। তাঁর মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে জোরদার আন্দোলন গড়ে তুলতে চাইছে বামেরা। সে কাজে তারা আংশিক সাফল্য পেয়েছে বলা যেতে পারে। সেটা তাঁরা ধরে রাখতে চাইছে। তাই লাগাতার কর্মসূচির পথে হাঁটছে।
তবে বামবিরোধীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, মৃতদেহ নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে। রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এই বিষয়ে জানিয়েছিলেন, যে কোনও মৃত্যু দুর্ভাগ্যজনক। যে কোনও আন্দোলনে যে কোনও দলের মানুষের মৃত্যুই খুব কষ্টের। তাঁরাও দীর্ঘদিন সিপিআইএমের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়েছেন। তাঁদেরও অনেক কর্মী আন্দোলন করতে গিয়ে মারা গিয়েছেন।
সেইসঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, এর আগে সিপিআইএম (CPIM) নবান্ন অভিযান করেছিল। তখন আন্দোলনকারীদের পকেটে ইট ছিল। তাঁর দাবি, এবারও দেখা গেল ইট ছোড়া হয়েছে। এত ইট কোথা থেকে আসে, প্রশ্ন তুলেছেন তিনি
বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের মতে, যে কোনও মৃত্যুই দুঃখজনক। তবে আন্দোলনে লাঠিচার্জ এখনো নতুন একটা জিনিস। এ নিয়ে তিনি আরও বলেন, তৈরি করা আন্দোলন নিয়ে অনেকে ফায়দা নিতে চাইছেন।