"পশ্চিমবঙ্গই (West Bengal) একমাত্র প্রদেশ যেখানে রাজনৈতিক হিংসা হয়, রাজনৈতিক আন্দোলন করতে গেলে মানুষকে জীবন দিতে হয়। পশ্চিমবঙ্গের এই ট্র্যাডিশন বন্ধ করার দরকার", পূর্ব বর্ধমানের (East Burdwan) জামালপুরে পরিবর্তন যাত্রায় এসে ডিওয়াইএফআই নেতার মৃত্যু প্রসঙ্গে এমনটাই বললেন বিজেপি (BJP) নেত্রী তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী (Debasree Chaudhuri)। দেবশ্রী বলেন, "যে দলেরই হোক, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় প্রত্যেকের আন্দোলন করার অধিকার আছে। সেই আন্দোলনে পুলিশের মারে যদি কারও মৃত্যু হয় তবে পশ্চিমবঙ্গের সেই ট্র্যাডিশান বন্ধ করার প্রয়োজন রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে এটাই ট্র্যাডিশান হয়ে গেছে।"
এদিন পুলিশ প্রশাসনকে একহাত নেন দেবশ্রী চোধুরী। তাঁর অভিযোগ, "পুলিশ প্রশাসন নির্বিচারে গুলি চালায়, হত্যা করে।" দেবশ্রী প্রশ্ন তোলেন, "এই হিংসার রাজনীতি কতদিন চলবে?" তাঁর দাবি, "পশ্চিমবঙ্গে যা চলছে, ভারতের অন্য কোথাও এমন রেকর্ড নেই। এই ট্র্যাডিশান বন্ধ করতে হবে।"
প্রসঙ্গত নবান্ন অভিযানে গিয়ে মৃত্যু হয় বাম যুব নেতা মইদুল ইসলাম মিদ্দার। এই ঘটনাকে ঘিরে উত্তপ্ত হয় গোটা রাজ্য রাজনীতি। পুলিশ ও রাজ্য সরকারে বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন বাম নেতা কর্মীরা। ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় পালটা অবরোধ বিক্ষোভে সামিল হন বামেরা। রাজ্য সরকারকে নিশানা করে কংগ্রেসও। এমনকি তরতাজা যুবকের মৃত্যুতে দুঃখ প্রকাশ করেন বিজেপি নেতৃত্বও।
অন্যদিকে এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলনে, "খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সুজন চক্রবর্তীকে ফোন করেছিলাম। দুঃখ প্রকাশও করেছি। যে কোনও মৃত্যুই দুঃখের। কোনও সাহায্যই সেই দুঃখ লাঘব করতে পারে না। তবু তাঁর পরিবার চাইলে একজন সদস্যকে চাকরি দেওয়া হবে।" তবে একই সঙ্গে মিদ্দার মৃত্যুর কারণ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রয়াত ওই বাম যুব নেতা আদও নবান্ন অভিযানে ছিলেন কি না সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি। এদিকে মইদুলের ময়না তদন্তের রিপোর্টে জানা যায়, হাঁটুতে চোট ছিল তাঁর। তবে অভ্যন্তরীণ কোনও আঘাতের প্রমাণ পাওয়া যায়নি।