শীতলকুচির ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পরেও সরগরম রাজ্য রাজনীতি। গোটা ঘটনার জন্য ইতিমধ্যেই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) দায়ি করেছে বিজেপি। রবিবার ফের একবার তেমনটাই শোনা গেল বিজেপি নেতাদের মুখে। এদিন আবারও ওই ঘটনার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই কাঠগড়ায় তুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং ভবানীপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষ।
রবিবার ভিক্টোরিয়ায় প্রাতঃভ্রমণে গিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, "প্রথম থেকে কড়াকড়ি হলে এই ঘটনা ঘটতো না। মানুষকে উস্কাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশমন্ত্রী হয়ে তাঁর আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখার কথা, তা না করে তিনি মানুষকে উস্কানি দিচ্ছেন। শীতলকুচিতে যে ঘটনা ঘটেছে তার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে দায়ি।" দিলীপের দাবি, "অবিলম্বে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমস্ত প্রচার বন্ধ করে তাঁকে ঘরবন্দি করা হোক।" মমতাকে বিঁধে দিলীপ বলেন, "ওনাকে ওখানে যেতে না দিয়ে ঠিকই করা হয়েছে। উনি হত্যা করিয়েছেন, এখন লাশ নিয়ে রাজনীতি শুরু করবেন। পশ্চিমবঙ্গে নোংরা রাজনীতি চলছে।"
প্রায় একসুরেই আক্রমণ করেন রুদ্রনীল ঘোষও (Rudranil Ghosh)। এদিন ভিক্টোরিয়াতেই প্রাতঃভ্রমণে এসে রুদ্রনীলও বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষকে উস্কানি দিচ্ছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী আটকালে ঝাঁটা লাঠি নিয়ে রুখে দাঁড়াবেন। গতকাল ঠিক তাই হল, আর মানুষের প্রাণ গেল। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেহ নিয়ে রাজনীতি করবেন।"
একইসঙ্গে রূদ্রনীল আরও দাবি করেন, "ভবানীপুরের বাসিন্দারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চান না। ২০১৯-এ হেরে গিয়েছিলেন। অনেক ছাপ্পা ভোটের পর সাড়ে ৩ হাজার ভোটে জিতেছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানেন ২০২১-এর ভোটে তিনি হারবেন, তাই তিনি জায়গা পরবর্তন করেছেন।"