scorecardresearch
 

Shitalkuchi Firing: 'শীতলকুচি-কাণ্ডে রাজ্যপাল নীরব কেন?' কুণাল ঘোষ যা বললেন...

শীতলকুচির ঘটনায় ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকার এবং নির্বাচন কমিশনকে তীব্র আক্রমণ করেছে তৃণমূল। এমনকি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পদত্যাগ পর্যন্ত দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে আবার বিজেপির অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উস্কানিমূলক মন্তব্যের জন্যই ঘটছে এই ধরনের ঘটনা। এর মাঝেই কেউ কেউ আবার প্রশ্ন তুলছেন যেখানে ছোট থেকে বড় যেকোনও বিষয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে বা ট্যুইটে নিজের বক্তব্য পেশ করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখর (Jagdeep Dhankhar), সেখানে নির্বাচনে এতগুলো মৃত্যুর পরেও তিনি চুপ কেন?

Advertisement
কুণাল ঘোষ ও জগদীপ ধনখড় (বামদিক থেকে) কুণাল ঘোষ ও জগদীপ ধনখড় (বামদিক থেকে)
হাইলাইটস
  • শীতলকুচি-কাণ্ডে জোর রাজনৈতিক তরজা
  • রাজ্যপালের নীরবতা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন
  • নাম না করে সমালোচনায় কুণাল ঘোষ

চতুর্থ দফার নির্বাচনে কোচবিহারের শীতলকুচিতে (Shitalkuchi) চলেছে গুলি। মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। তারমধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতেই মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। সেই ঘটনার পর থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকার এবং নির্বাচন কমিশনকে তীব্র আক্রমণ করেছে তৃণমূল। এমনকি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পদত্যাগ পর্যন্ত দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে আবার বিজেপির অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উস্কানিমূলক মন্তব্যের জন্যই ঘটছে এই ধরনের ঘটনা। এর মাঝেই কেউ কেউ আবার প্রশ্ন তুলছেন যেখানে ছোট থেকে বড় যেকোনও বিষয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে বা ট্যুইটে নিজের বক্তব্য পেশ করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখর (Jagdeep Dhankhar), সেখানে নির্বাচনে এতগুলো মৃত্যুর পরেও তিনি চুপ কেন?

এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, "তিনি রাজ্যের রাজ্যপাল, অন্য রাজ্যের বাহিনী ঢুকে তাঁর রাজ্যের বাসিন্দাদের মেরে ফেলল। এই বিষয়ে তাঁর বলা উচিত ছিল। এবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে যদি তিনি নীরবতা পালন করেন তাহলে তার থেকেই তাঁর রাজনৈতিক অবস্থানটা পুরোদস্তুর বোঝা যায়। নিন্দা করা উচিত ছিল। যাঁরা নিন্দা করবেন, ধরে নিতে হবে তাঁরা গণতন্ত্রকে ভালবাসেন, তাই প্রতিবাদ করছেন। আর যাঁরা নিন্দা করবেন না, মুখে কুলুপ এঁটে থাকবেন, ধরে নিতে হবে তাঁরা এটাকে সমর্থন করবেন এবং এই চক্রান্তের অংশ।" 

এদিকে রবিবার তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শীতলকুচিতে যাওয়ার কথা ঘোষণা করলেও কমিশনের নির্দেশে তা এদিনের মতো আটকে যায়। কারণ শনিবারই কমিশন জানিয়ে দেয় ৭২ ঘণ্টা কোচবিহারে প্রবেশ করতে পারবেন না কোনও রাজনৈতিক দলের নেতানেত্রী। এরপরেই কমিশনের সমালোচনায় সরব হয় তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকি এমসিসির নাম 'মোদী কোড অফ কন্ডাক্ট' রাখা উচিত বলে ট্যুইট করেন মমতা নিজেও। পাশাপাশি সাংবাদিক বৈঠকে শীতলকুচিতে বাহিনীর গুলিতে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে ভিডিও করে কথাও বলেন মমতা। মৃতদের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেওয়ার পাশাপাশি ১৪ তারিখ তিনি সেখানে যেতে পারেন বলেও জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 
 

Advertisement

 

Advertisement