scorecardresearch
 

২০১১ সালে আটকে দিয়েছিলেন জেমস বন্ডকে! এখন কার সঙ্গে 'বন্ড' দীনেশের ?

২০১১ সালে আটকে দিয়েছিলেন জেমস বন্ডকে! আর তার দু'বছর আগে সিপিআইএমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ সাংসদ তড়িৎ তোপদারকে। এমনই প্রভাব তাঁর।

Advertisement
দীনেশ ত্রিবেদী দীনেশ ত্রিবেদী
হাইলাইটস
  • ২০১১ সালে আটকে দিয়েছিলেন জেমস বন্ডকে
  • আর তার দু'বছর আগে সিপিআইএমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ সাংসদ তড়িৎ তোপদারকে
  • সদ্য প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদীকে নিয়ে কথা হচ্ছে

২০১১ সালে আটকে দিয়েছিলেন জেমস বন্ড (James Bond)-কে! আর তার দু'বছর আগে সিপিআইএমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ সাংসদ তড়িৎ তোপদারকে। এমনই প্রভাব তাঁর। 

খোলসা করে বলা যাক। সদ্য প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী (Dinesh Tribedi)-কে নিয়ে কথা হচ্ছে। সেটা ২০১১ সালের কথা। জেমস বন্ড (James Bond)-এর সিনেমা স্কাইফল (Skyfall)-এর কিছু অংশ এদেশে শুটিং হওয়ার কথা ছিল। তার মধ্যে একটি দৃশ্য ছিল ট্রেনের ওপরে হেঁটে-চলে বেড়ানো। যা ভারতীয় রেলের আইন মতে অবৈধ।

আর তাই জন্য তার শুটিং করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। তখন দীনেশ ত্রিবেদী (Dinesh Tribedi) ছিলেন রেলমন্ত্রী। যদিও তার কিছু সময় পরে মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিরোধের জেরে সেই পদ তাঁকে ছাড়তে হবে। তার কারণ তিনি রেলের ভাড়া বৃদ্ধি করতে চেয়েছিল। কিন্তু দলের অবস্থান ছিল পরিষ্কার। কোনও মতেই রেলের ভাড়া বাড়ানো যাবে না। মানুষের ওপর চাপ তৈরি করা যাবে না।

তবে দীনেশ ত্রিবেদী (Dinesh Tribedi) ঘোষণা করে দিয়েছিলেন রেল ভাড়া বৃদ্ধির ব্যাপারে। কিন্তু দলনেত্রী তীব্র আপত্তি জানান। এবং দীনেশকে সরে যেতে হয় রেলমন্ত্রীর পদ থেকে। তার জায়গায় এসেছিলেন মুকুল রায়।

গুজরাটি পরিবারে জন্ম হলেও কলকাতার সঙ্গে তাঁর নাড়ির যোগাযোগ। লেখাপড়া কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে। পরে মার্কিন মুলুক থেকে এমবিএ করেছেন। এক সময় ভেবেছিলেন হয়ে যাবেন সন্ন্যাসী। তা আর হওয়া হল না। 

প্রথমে ছিলেন কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত। পরে যোগ দেন জনতা দলে। এবং তারপর তৃণমূল কংগ্রেসে। ২০০৯ সালের ভোটের লোকসভা ভোটে ব্যারাকপুরের ৭ বারের সিপিআইএম সাংসদকে হারিয়ে দেন তিনি। 

দামি কুর্তার প্রতি তাঁর দুর্বলতার কথা সকলেরই জানা। বলা হয়, তার কোনও কোনওটির দাম লক্ষাধিক। সংসদ চলার সময় এমনই দামি কুর্তা পরে আসতে দেখা যায় তাঁকে। যা দেখে তাক লেগে যেতে হয়।

Advertisement

সেই দীনেশ ত্রিবেদী ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে ব্যারাকপুর কেন্দ্র থেকে হেরে যান। তাঁকে হারান একদা তাঁরই সহকর্মী বা দলীয় সতীর্থ অর্জুন সিং। যিনি এখন বিজেপিতে। জল্পনা চলছে দীনেশও এখন সেই পথে পা বাড়াবেন।

 

Advertisement