কোচবিহারের হিংসার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে পশ্চিমবঙ্গের বাকি ৪ দফার নির্বাচনের জন্য আরও ৭১ কোম্পানি অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করতে বলল নির্বাচন কমিশন (EC)। অবিলম্বের এই বাহিনী মোতায়েনের কথা বলা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে হাজার কোম্পানি বাহিনী নিয়োগ করা হয়েছে। এর জন্য জন্য, বিএসএফ থেকে ৩৩, আইটিবিপি থেকে ১৩, সিআরপিএফ থেকে ১২, এসএসবি থেকে ৯ এবং সিআইএসএফ থেকে ৪ কোম্পানি বাহিনীকে পাঠানো হবে বলে জানা যাচ্ছে। প্রসঙ্গত এক কোম্পানি সিএপিএফ-এ ৮৫ জন জওয়ান থাকেন।
চতুর্থ দফার নির্বাচনে কোচবিহারের শীতলকুচির (Shitalkuchi) একটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। অভিযোগ, উত্তেজিত জনতা বাহিনীর ওপর হামলা চালায় এবং রাইফেল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। প্রাথমিক রিপোর্টে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান বাংলার এডিজিপি। সূত্রের খবর, "ভোটারদের বুথে যেতে বাধা দিচ্ছিলেন একদল মানুষ। তাই দেখে স্থানীয় পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ভিড় সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে বাহিনী। সেই সময় এক ভোটার পড়ে যান। এরপরেই কিউআরটি ভ্যানের ওপরে হামলা চালায় উত্তেজিত জনতা। যার জেরে ৫ রাউন্ড গুলি চালান নিরাপত্তারক্ষীরা। বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে কোচবিহারের মাথাভাঙ্গার পুলিশ।" এদিকে এই বিষয়ে পরে নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, "ভুল বুঝে স্থানীয়রা আক্রমণ করাতেই এই ঘটনা ঘটেছে।"
ঘটনায় যাঁদের মৃত্যু হয়েছে তাঁরা তাদের দলের কর্মী বলে দাবি করেছে তৃণমূল। পাশাপাশি এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর তীব্র সমালোচনা করে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, যেভাবে নির্বাচন পরিচালিত হচ্ছে তা গণতন্ত্রের লজ্জা। অন্যদিকে এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে মানুষকে উস্কে দেওয়ার অভিযোগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
প্রসঙ্গত চতুর্থ দফার নির্বাচনে ৫ জেলার মোট ৪৪টি আসনে হয় ভোটগ্রহণ। তারমধ্যে ছিল কোচবিহারের ৯টি, আলিপুরদুয়ারের ৫টি, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ১১টি, হুগলির ১০টি ও হাওড়ার ৯টি কেন্দ্র। রাজ্যে বাকি রয়েছে আরও ৪ দফার নির্বাচন। ফল ঘোষণা আগমী ২ মে।