"ভয় পেয়েই অপরকে ছোবল মারার কথা বলছেন মিঠুন চক্রবর্তী", ফুরফুরা শরীফে গিয়ে এমনটাই বললেন তৃণমূল (TMC) নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। একইসঙ্গে মিঠুনের উদ্দেশ্যে ফিরহাদ আরও বলেন, "আপনার ফনায় হাত রেখে বলছি, আপনি একটু শান্ত হয়ে যান। বাংলার মানুষের আপনার ফনায় ভয় পাওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই।" প্রসঙ্গত গত ৭ তারিখ ব্রিগেডে প্রধানমন্ত্রীর সভাতেই বিজেপিতে (BJP) যোগ দিয়েছেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। যোগ দিয়েই একেবারে ফিল্মি কায়দায় ভাষণ দেন মিঠুন। ভাষণে ব্যবহার করেন নিজের ছবি পরিচিত ডায়লগ। সেই সময়ই নিজেকে 'গোখরা' বলে দাবি করেন মিঠুন চক্রবর্তী।
অন্যদিকে মালদা জেলা পরিষদ নিয়েও প্রশ্ন করা হয় ফিরহাদ হাকিমকে। তার প্রেক্ষিতে ফিরহাদ বলেন, "দু - চারজন নেতা দলবদল করলে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও ক্ষতি হবে না। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মানুষের হৃদয়ে রয়েছেন, আগামিদিনেও থাকবেন।" প্রসঙ্গত সোমবারই বিজেপিতে যোগ দেন মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌর চন্দ্র মণ্ডল সহ মোট ১৪ জন সদস্য। আর এর পরেই বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, এই যোগদানের ফলে মালদা জেলা পরিষদ এখন বিজেপির দখলে। জেলা পরিষদের ৩৮ আসনে মধ্যে ২৩টি বিজেপির দখলে বলে দাবি করেন শুভেন্দু। যদিও মালদার তৃণমূল জেলা সভাপতি মৌসম বেনজির নূরের দাবি, জেলা পরিষদের সংখ্যা গরিষ্ঠ সদস্য তাঁদের সঙ্গেই রয়েছেন। এমনকি প্রয়োজনে সংখ্যা গরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতেও তৃণমূল প্রস্তুত বলে জানান মৌসম।
ভোটের আবহে মালদা জেলায় তৃণমূলের বিড়ম্বনা শুরু হয় প্রার্থী ঘোষণার পরেই। জেলার হবিবপুর কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করা হয় জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি সরলা মুর্মুকে। কিন্তু ওই কেন্দ্র থেকে লড়তে রাজি হননি তিনি। উলটে মালদা কেন্দ্র থেকে দাঁড়াতে চান সরলা। এরপরই বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। এদিকে সরলা অসুস্থ এই কারণ দেখিয়ে হবিবপুর কেন্দ্রে প্রদীপ বাস্কেকে টিকিট দেয় তৃণমূল।