scorecardresearch
 

গুরুংয়ের সঙ্গে সন্ধি? গোর্খাদের জন্য একটিই সংগঠন চেয়ে ইঙ্গিত মোর্চার বিনয়ের

গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা (Gorkha Janmukti Morcha)-র প্রাক্তন প্রধান বিমল গুরুং (Bimal Gurung)-এর সঙ্গে কি সন্ধি করে নিতে চান দলের এখনকার শীর্ষনেতা বিনয় তামাং (Binay Tamang)? সোমবার তেমনই সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

Advertisement
গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নেতা বিনয় তামাং গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নেতা বিনয় তামাং
হাইলাইটস
  • গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রাক্তন প্রধান বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে কি সন্ধি করে নিতে চান দলের এখনকার শীর্ষনেতা বিনয় তামাং?
  • বিনয়ের করা দাবিতে এমনই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে
  • তিনি দাবি করেছেন, দেশে গোর্খাদের জন্য একটিই সংগঠন গড়ে তোলার দরকার। এর পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, তিনি আর ভোটে লড়বেন না

গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা (Gorkha Janmukti Morcha)-র প্রাক্তন প্রধান বিমল গুরুং (Bimal Gurung)-এর সঙ্গে কি সন্ধি করে নিতে চান দলের এখনকার শীর্ষনেতা বিনয় তামাং (Binay Tamang)? সোমবার তেমনই সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বিনয়ের করা দাবিতে এমনই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। তিনি দাবি করেছেন, দেশে গোর্খাদের জন্য একটিই সংগঠন গড়ে তোলার দরকার।  তৈরি করতে হবে অল ইন্ডিয়া গোর্খা অ্য়াসেম্বলি (All India Gorkha Assembly) বা সারা ভারত গোর্খা সমিতি। এর পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, তিনি আর ভোটে লড়বেন না।

এদিন বিনয় তামাং (Binay Tamang)-এর তরফে জানানো হয়েছে, ১৯৪৯ সালের ভারত-ভুটান এবং ১৯৫০ সালের ভারত-নেপাল চুক্তি পর্যালোচনা করা দরকার। ওই দুই চুক্তির জন্যই গোর্কাদের এই অবস্থা। তাঁরা অস্তিত্বের সঙ্কটে পড়েছে। ওই দুই চুক্তি পর্যালোচনা করে এবং তার ভিত্তিতে গোর্খাদের সাংবিধানিক অধিকার দিতে হবে। উত্তর-পূর্ব পর্ষদে গোর্খাল্যান্ডের অংশকে ঢোকাতে হবে। তৈরি করতে হবে অল ইন্ডিয়া গোর্খা অ্য়াসেম্বলি (All India Gorkha Assembly) বা সারা ভারত গোর্খা সমিতি। 

মোর্চার বিনয়পন্থীরা জানিয়েছে, ২০২০ সালে ১৩ ডিসেম্বর শুকনায় এক সভায় দলের তরফ থেকে বেশ কিছু দাবি তোলা হয়েছিল। তার মধ্যে এগুলো ছিল। এই সমস্যার সমাধান না হওয়ায় সেখানকার মানুষ সমস্যায় রয়েছেন। দেশের উত্তর-পূর্ব অংশের সাতটি রাজ্য উত্তর-পূর্ব পর্ষদে রয়েছে। তবে সিকিম এবং ওই এলাকা তার বাইরে রয়েছে। 

তারা আরও দাবি করেছে, তারা জাতীয় সরকারের থাকতে পারতে, যদি গোর্খাল্যান্ড তৈরি করা যেত। কিন্তু কংগ্রেস, বিজেপি বা তৃণমূল কোনও দলই গোর্খাল্যান্ডের পক্ষে নয়। গোর্খাল্যান্ড এখন একটা নির্বাচনী ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে মাত্র। যে কোনও দল ওই বিষয়টাকে সমর্থন করে। তবে তারা যখন ক্ষমতায় চলে যায়, আর তখনই সব কিছু ভুলে যায়। এই সমস্যা সমাধানের জন্য দরকার সারা ভারত গোর্খা সমিতি। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা চাই, গোর্খারা যাতে সাংবিধানিক বিচার পায়। আর তাই এই সমিতি গঠনের দাবি জানিয়েছে তারা। গোর্খাদের পরিচয় আর অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই করবে ওই সংগঠন। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী, দেশের সব রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী এবং গোর্খাদের চিঠি পাঠাতে চলেছে তারা।

Advertisement

 

Advertisement