"বাংলায় ভয়ের পরিবেশ রয়েছে, গণতন্ত্রের অভাব রয়েছে", আজতকের 'সিধি বাত' (Sidhi Baat Aaj Tak) অনুষ্ঠানে এসে এমনটাই বললেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Governor Jagdeep Dhankhar)। রাজ্যপাল বলেন, "পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে হতাশ করব না। নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। গণতন্ত্র আসবে, নিশ্চিতভাবে আসবে।" তিনি আরও বলেন, "সব সময় সংবিধান মেনে কাজ করি। সংবিধানের থেকে নির্দেশ নিয়ে চলি। আমি ভারতের সংবিধানের প্রতিনিধি।" বিরোধ নয়, সংশোধনের জন্যই তিনি বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন বলে জানান ধনখড়।
রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ধনখড় বলেন, "আমি প্রতিমাসে কেন্দ্রকে চিঠি লিখি। কিন্তু কী লিখি তা বলবো না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে প্রতি মাসে চিঠি লিখি। সংবিধানের সীমারেখার মধ্যে থেকে কেন্দ্রকে রিপোর্ট দি।" পাশাপাশি উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলার পরিস্থিতির পরিবর্তন চান বলেই জানান তিনি। ধনখড় আরও বলেন, "আমার কোনও কাজ লুকোনো নয়। আমি রাজ্যের সকলের সঙ্গেই সাক্ষাৎ করি। তৃণমূলের লোকেরা দেখা করেন না, তার অর্থ এটা নয় যে, তাঁদের সঙ্গে আমার যোগযোগ নেই। আমি সবার সঙ্গে দেখা করি।"
রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় বলেন, "এখানে আমলাতন্ত্র নেই। এখানে পুলিশ আমলাতন্ত্র রয়েছে। যা ঠিক নয়। লোকেরা এখানে অবসর নেন না।" পাশাপাশি সরকারি কর্মচারিদেরও কটাক্ষ করেন ধনখড়। বলেন, "সরকারি কর্মচারিরা রাজনৈতিক কার্যকর্তা হয়ে গিয়েছেন।" তিনি প্রশ্ন তোলেন, "সংবিধান দিবসে বিধানসভায় সর্ব প্রথম বক্তা কে হওয়া উচিত? কিন্তু আমার নম্বর ছিল ৬।" মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের পরিবর্তে কেন্দ্রের বিষয়ে বেশি বলেন, সেই প্রশ্নের উত্তরে জগদীপ ধনখড় বলেন, "আমার হৃদয় পশ্চিমবঙ্গের মানুষের জন্য কাঁদে। আমি মানুষের সেবায় নিয়োজিত। যখন দেখি মানুষ ভয়ের কারণে ভয়ের কথাই বলেন না, তখন সেটা চিন্তাজনক লাগে।" পাশপাশি মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠির প্রসঙ্গে রাজ্যপাল বলেন, "ট্যুইট করার আগে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখি।" তিনি বলেন "বাংলায় ৭০ লক্ষ চাষি কৃষক সম্মান নিধি পাচ্ছেন না।" পাশাপাশি মানবাধিকার চরমভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন ধনখড়।