এদিনও বাম কংগ্রেস ও বিজেপিকে একযোগে আক্রমণ করতে তাঁর সেই চির পরিচিত 'জগাই' 'মাধাই' 'গদাই' শব্দের ব্যবহার করেন মমতা। একইসঙ্গে এদিন AIMIM-এর প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়েইসির উদ্দেশ্যেও তীব্র কটাক্ষ শোনা গেল মমতার গলায়। অনুষ্ঠানে সঞ্চালককে মমতা বলেন, 'এইসব মানুষের কথা বলে কেন তাঁদের জনপ্রিয় করছেন?' পাশাপাশি ফুরফুরা শরীফের নেতারা তাঁদের সঙ্গে অর্থাৎ ধর্ম নিরপেক্ষতার সঙ্গে আছেন বলেও দাবি করেন মমতা। এক্ষেত্রে তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্ক ভাগ হবে না, বরং বাড়বে বলেই দাবি করেন তিনি।
এদিন বিভিন্ন ইস্যুতে বিজেপি তথা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন মমতা। জাতপাতের রাজনীতি নিয়ে বিশেষ ভাবে সরব হন তিনি। তাঁর অভিযোগ, 'বাংলায় কখনও জাতপাতের রাজনীতি হয়নি। বিজেপি শুরু করেছে। সব জায়গায় ধর্মের নামে অশান্তি লাগাচ্ছে। এমনকি হিন্দু ও বাঙালিদের মধ্যেও বিভাজন করছে। হিম্মত থাকলে লড়ে দেখাক।' একইসঙ্গে এদিন ফের একবার গর্জে উঠে মমতা প্রশ্ন তোলেন, 'দিল্লি কেন বাংলাকে নিয়ন্ত্রণ করবে, বাংলা বাংলাকে নিয়ন্ত্রণ করবে।' ২১-এর নির্বাচনকেও বিশেষ ভাবে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার কথায়, 'কোনও আলাদা নির্বাচন নয়। ছোট বড় ব্যাপারও কিছু নয়। আমি স্ট্রিট ফাইটার।'
ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভে এদিন রাজ্য সরকারের উন্নয়নের ক্ষতিয়ান তুলে ধরেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমাদের সরকার ফর দ্য পিপল, বাই দ্য পিপল, অফ দ্য পিপল। প্রায় ১০ কোটি জনসংখ্যা। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাবার সবটাই বিনামূল্যে, সবটাই ভর্তুকি।' একইসঙ্গে বাংলা, এম এস এম ই, গ্রামীণ রাস্তা, ই গভর্ন্যান্স, ই টেন্ডার সহ বেশকিছু ক্ষেত্রে প্রথম বলেও এদিন ফের একবার উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যে দারিদ্রতাও ৪০ শতাংশ কমেছে বলে জানান মমতা।