scorecardresearch
 

"ভোট মিটলেই BJP-তে যাবে TMC-র ৪০-৫০ বিধায়ক", বিস্ফোরক দাবি আব্বাসের

ষষ্ঠ দফার নির্বাচন মিটেছে, তবে বাংলায় ভোট উত্তাপ কিন্তু কমেনি। দৈনিক করোনা সংক্রমণ যখন প্রতিদিন নতুন রেকর্ড গড়ছে তখন রাজনৈতিক নেতাদের নিত্যনতুন মন্তব্য বাংলার ভোটযুদ্ধকে নতুন রসদ দিচ্ছে। বৃহস্পতিবার অধীর গড় মুর্শিদাবাদে ভোট প্রচারে গিয়েছিলেন ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রান্টের নেতা আব্বাস সিদ্দিকী।

Advertisement
Abbas Siddiqui Abbas Siddiqui
হাইলাইটস
  • অধীরের গড়ে ভোটপ্রচারে আব্বাস সিদ্দিকী
  • প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির উপর উগরে দিলেন ক্ষোভ
  • তৃণমূলের সঙ্গে অধীরের গোপন আঁতাতে নিয়ে খোঁচা

ষষ্ঠ দফার নির্বাচন মিটেছে, তবে বাংলায় ভোট উত্তাপ কিন্তু কমেনি। দৈনিক করোনা সংক্রমণ যখন প্রতিদিন নতুন রেকর্ড গড়ছে তখন রাজনৈতিক নেতাদের নিত্যনতুন মন্তব্য বাংলার ভোটযুদ্ধকে নতুন রসদ দিচ্ছে। বৃহস্পতিবার অধীর গড় মুর্শিদাবাদে ভোট প্রচারে গিয়েছিলেন ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রান্টের নেতা আব্বাস সিদ্দিকী। সেখানেই জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে আব্বাস বলেন, "বিভিন্ন সমীক্ষা বলছে তৃণমূলের মধ্যে ৪০ থেকে ৫০ জন এমন প্রার্থী রয়েছে যারা জেতার পর বিজেপিতে যোগ দেবেন। তাই ঘাসফুলে ভোট দিয়ে বিজেপিকে রোখা কখনও সম্ভব নয়।" পাশাপাশি আব্বাস বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে বলেছেন তাঁর দলে গদ্দার আছে। তাই গদ্দাদের দলকে ভোট না দেওয়ার বষয়েই সতর্ক করেন আব্বাস।

অধীরের গড়ে প্রদেশ সভাপতিকে বিঁধলেন
মুর্শিবাদাদে আইএসএফ-কে আসন ছাড়েনি কংগ্রেস। সেই প্রসঙ্গেও এদিন মুখ খোলেন আব্বাস। বলেন, 'জোট না হলেও আপনাদের বহু প্রার্থীর হয়ে প্রচার করছি।' আসন না ছাড়ার জন্য প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দিকে ক্ষোভও উগরে দিয়েছেন আব্বাস।  অধীরকে কটাক্ষ করেই আইএসএফ প্রধান বলেন, 'উনি সব একা নেবেন। আমার সন্দেহ হচ্ছে ভেতরে ভেতরে  সেটিং হয়ে বসে আছে । কম পড়লে শরিকের সহযোগিতা করতে পারে ।' অধীরের গড়ে দাঁড়িয়ে তাঁর বিরুদ্ধে তোপ দাগলেও আব্দুল মান্নান , প্রদীপ ভট্টাচার্যের মত কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্কের কথা উল্লেখ করেছেন আব্বাস। 

আব্বাস প্রচার মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলেন, "দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতে সাপোর্ট করেছি কংগ্রেসকে । তারা সেই জেলাগুলো থেকে জিতেও যাবে।  আজকে যদি উত্তরবঙ্গে কংগ্রেস ৫-৬আসন ছাড়ত তাহলে সব জায়গায়  আমি কংগ্রেসের প্রচার করতাম। তাহলে সংযুক্ত মোর্চার সরকার টা আরো ভালো হতো। কিন্তু অধীর চৌধুরী চাননি। কেন চাননি জনগণকে জানাতে  হবে । তোমরা তো নেতা উপরে বসে আছো মার খাবে নিচুতলার কর্মীরা। তৃণমূলতো কংগ্রেসকে মেরে পুঁতে দিচ্ছে। বামফ্রন্টকে মেরে পুঁতে দিচ্ছে। আমি চেয়েছি সবাই মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে, দুঃখের বিষয়  অধীর চৌধুরী আমার কথা ভাবলো না।"

Advertisement

ব্রিগেড নিয়ে অধরীকে তোপ
ব্রিগেডের সবা নিয়েও অধীরক তোপ দাগেন আব্বাস। বলেন "আমি যখন ব্রিগেডের মঞ্চে উঠলাম মুখে মাক্স লাগিয়ে নিল । যেন আমি করনা। আমার ভোট নিতে খুব ভালো লাগে,  আর আমাদের কি ঘৃণা করে। আব্দুল মান্নান, প্রদীপদা থেকে শুরু করে  কেন্দ্র পর্যন্ত কথা হয়েছে । সবার ইচ্ছে ছিল জোটটা হোক । কিন্তু অধীর করতে দিল না। মুর্শিদাবাদ ছাড়লো না।" এদিন রানীনগর বিধানসভা কেন্দ্রের আইএসএফপ্রার্থী মাসুম রেজার সমর্থনে জনসভায় বক্তব্য রাখেন আব্বাস সিদ্দিকী।

 

Advertisement