প্রথমে বিজেপি (BJP) প্রার্থী লকেট চট্টোপধ্যায়ের (Locket Chatterjee) গাড়িতে ভাঙচুর। তারপর তাঁর এজেন্টকে বেধড়ক মারধর। ঘটনার জেরে উত্তপ্ত হুগলির চুঁচুড়া বিধানসভার অন্তর্গত ইশ্বরবাগ এলাকা। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই পোলিং এজেন্ট। ঘটনায় অভিযোগ আঙুল তৃণমূলের দিকে।
অভিযোগ, শনিবার সকাল থেকেই চুঁচুড়া (Chunchura) বিধানসভার অন্তর্গত ইশ্বরবাগের ৬৬ নম্বর বুথ দখলের চক্রান্ত করছিল স্থানীয় তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা। পরিস্থিত বুঝে ওই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়কে ফোন করেন তাঁর পোলিং এজেন্ট মাধবী ঘোষ। খবর পেয়ে ওই বুথে যান লকেট চট্টোপাধ্যায়। লকেট পৌঁছতেই তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকেরা। এমনকী ভাঙচুরও চালান হয় তাঁর গাড়িতে। দ্রুত তৎপর হয় বাহিনী। এরপর ঘটনাস্থল থেকে বের করা হয় লকেট চট্টোপাধ্যায়।
বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ, ওই বুথে তৃণমূল ছাপ্পা ভোট দিচ্ছিল। তিনি বাধা দিতেই তাঁকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় তৃণমূলের কর্মী ও সমর্থকরা। এমনকী তাঁকে ও তাঁর দলের কর্মীদের লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছোড়া হয় বলেও অভিযোগ লকেটের। হামলায় তাঁর হাতেও আঘাত লেগেছে বলে দাবি করেছেন বিজেপি প্রার্থী। পাশাপাশি হামলার পর কেন্দ্রীয় বাহনীর ওপর ক্ষোভে ফেটে পড়েন লকেট। বুথে নিরাপত্তা আরও বাড়ানোর দাবিতে কমিশনের পর্যবেক্ষককে ফোন করেন লকেট। সঙ্গে ওই বুথে ফের ভোটগ্রহণের দাবিতেও সরব হন তিনি। সাংসদের গাড়ির কাঁচ কীভাবে ভাঙা হল তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন লকেট।
তবে ঘটনা সেখানেই থামেনি। অভিযোগ লকেট সেখান থেকে চলে যাওয়ার পর তাঁর পোলিং এজেন্ট মাধবী ঘোষের ওপর চড়াও হয় তৃণমূলের স্থানীয় নেতা কর্মী সমর্থকেরা। বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে। মার খেয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন ওই পোলিং এজেন্ট। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে ওই পোলিং এজেন্টকে। এরপর তাঁকে ভর্তি করা হয় চুঁচুড়া সদর হাসপাতালে। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসা চলছে তাঁর।