তৃণমূল (TMC) ছেড়ে যেভাবে বিজেপিতে (BJP) যোগদানের হিড়িক বেড়েছে তা নিয়ে গেরুয়া শিবিরকে তীব্র কটাক্ষ মদন মিত্রের (Madan Mitra)। রবিবার বাঁকুড়ার বড়জোড়ায় যুব তৃণমূল আয়োজিত এক সভায় যোগ দিয়ে মদন বলেন, "আইএসএলে কোনও দল চার জনের বেশি বাইরের খেলোয়াড় নিয়ে খেলতে পারে না। নিলে দলটই বাতিল হলে যায়। আর বিজেপি দলটা তো তৃণমূল খেলোয়াড়দের ভিড়ে ভরে গেছে।"
প্রসঙ্গত বিগত কিছুদিন ধরেই ফের রাজনীতির ময়দানে পরিচিত মেজাজে দেখা যাচ্ছে মদন মিত্রকে। শনিবার ব্য়ারাকপুরের এক সভাতেও বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হন তিনি। সেখানে সৌমিত্র খাঁয়ের স্ত্রী সুজাতা মণ্ডলের তৃণমূলে যোগদান প্রসঙ্গ তুলে বিজেপিকে কটাক্ষা করেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। তিনি বলেন, "যেভাবে বিজেপি নেতাদের স্ত্রীয়েরা তৃণমূলে নাম লেখাচ্ছেন, তাতে বিজেপি নেতারা তাঁদের স্ত্রীদের ডিভোর্স দিতে বাধ্য হচ্ছেন। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনুরোধ করছি যে বিজেপির রাজ্য সদর দফতরে অবিলম্বে একটা ডিভোর্সের অফিস খুলুন। কারণ এত দীর্ঘ লাইন হয়ে যাবে যে আর ডিভোর্সের জায়গা পাওয়া যাবে না। সুজাতা তৃণমূলে যোগদানের পরেই সৌমিত্র তাঁকে ডিভোর্সের নোটিশ পাঠিয়েছেন। ডিভোর্স সবে শুরু হলো। দ্বিতীয় ডিভোর্স ব্যারাকপুর থেকে হবে।" এমনকি এবার থেকে রোজই ডিভোর্সের ঘটনা ঘটবে বলেও দাবি করেন তিনি।
অন্যদিকে ব্য়ারাকপুরের সভায় লাভ জিহাদ বিরোধী আইন নিয়েও বিজেপিকে নিশানা করেন মদন মিত্র। তাঁর মতে, "লাভ জিহাদের বিরুদ্ধে আইন করার অর্থ, দেশকে বন্ধ্যাকরণ ও নির্বীজকরণ অপারেশনের দিকে ঠেলে দেওয়া"। তিনি আরও বলেন, "আমরা কি প্রেম করতে পারবো না? তবে তো রবীন্দ্রনাথের প্রেম পর্ব থাকতো না! স্বামী বিবেকানন্দ বলেছিলেন, জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর।" বিজেপির উদ্দেশ্যে মদনের আরও কটাক্ষ, "তোমার ঘরে মুক্তার আব্বাস নকভি, শাহনওয়াজ হুসেন, সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর ছেলে, প্রত্যেকেই অন্য ধর্মে বিয়ে করে বসে আছে। তোমার মুসলমান মন্ত্রীরা অ-মুসলিম মেয়েদের বিয়ে করে বসে আছে। পারবে তাদের বের করে দিতে?" তাঁর দাবি, "লাভ জিহাদ নিয়ে আইন হলে বিজেপি তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে। কারণ তাদের ঘরে ক্রস কানেকশনটা বেশি।"