''এবারও কি খালি হাতেই ফিরতে হবে। মালদার আম এবার আমায় দেবেন তো ?'' না পাওয়ার হতাশা নিয়েই কার্যত মালদায় জনসভায় বক্তব্য শুরু করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।
মালদা বরাবরই তাঁকে হতাশ করেছে। রাজ্য রাজনীতিতে প্রয়াত মালদার রূপকার তথা বেশ কয়েকবার এর প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গণিখানের গড় হিসেবে পরিচিত এই মালদা জেলা । ২০১১ সালে ৩৪ বছরের বাম শাসনকে সরিয়ে রাজ্যের মসনদে তৃণমূল কংগ্রেস এলেও সেভাবে মালদা জেলায় প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি রাজ্যের শাসক দল। ২০১১ বিধানসভায় মালদায় কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের সুবাদে মানিকচকের আসন পেয়েছিল তৃণমূল।
সেবার জোটের হয়ে জয়লাভ করেছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র । রাজ্যের অন্যান্য জেলায় তৃণমূলের প্রভাব বিস্তার হলেও ষোলোর বিধানসভায় সেটাও জোটেনি। এমনকী সদ্য শেষ হওয়া লোকসভা নির্বাচনেও দুটি আসনের দুটিই গিয়েছে বিরোধী শিবিরে। স্বাভাবিকভাবেই হতাশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । মালদায় জনসভায় তাই তাঁর মুখে শোনা গেল আক্ষেপের সুর। মমতা বলেন, “মালদায় কি আমরা কিছু পাব না? ৩০ বছর ধরে মালদায় আসছি। ভোটের আগে সব সমীকরণ পালটে যায়। দুঃখ হয়, মালদা আমাকে শূন্য হাতে ফেরালে।”
মুখ্যমন্ত্রীর আক্ষেপ, “২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে মালদায় একটা সিটে বিজেপি জিতেছে, একটা সিটে কংগ্রেস জিতেছে। এমনকী মৌসমকে পর্যন্ত হারিয়ে দিয়েছে। ওঁর বিরুদ্ধে নানা রকম অপপ্রচার করেছে। তাই আমরা ওঁকে রাজ্যসভার প্রার্থী করে দিয়েছি। মালদায় আমার সিট নেই বলে আমি ব্যবস্থা করে দিয়েছি।”
তবে আক্ষেপের মাঝেও প্রত্যয়ী মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন,”এবারে কিন্তু শূন্য হাতে ফিরব না। আপনাদের আশীর্বাদ, দোয়া সঙ্গে নিয়েই যাব।” পাশাপাশি বিজেপির উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, “মমতাকে হারানোর ক্ষমতা তোমাদের নেই। কারণ মমতা একা নয়, মমতার সঙ্গে মানুষ আছে।” সুকৌশলে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এই জেলায় এনআরসি আতঙ্কও উসকে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূল নেত্র্রীর কথায়, “বাংলায় ওঁরা বারবার কেন আসছে জানেন? কারণ, ওঁরা দিল্লি থেকে বাংলাকে শাসন করতে চায়। দিল্লি থেকে বসে দাঙ্গা বাঁধাবে। এনপিআর আর এনআরসি করবে। তাই বিজেপিকে একটা ভোটও দেবেন না।