"যোগী থেকে ভোগী কে নেই! সবাই আছেন। আসতে দিন, বাংলাকে দেখতে দিন", নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশের পর বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের এভাবেই কটাক্ষ করলেন তৃণমূল (TMC) নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মমতা বলেন, "বিজেপি (BJP) উলটো পালটা কথা বলে। দুর্ভাগ্যজনক কথা বলে। কুৎসা করে। আমাকে হেনস্থা করেছে। তবে আমি তেমন কিছু করবো না। আমি রাজনৈতি ভাবে লড়াই করবো।" এরপরেই মমতা বলেন, "বিজেপির যাঁরা এখানে আসতে চাইছেন তাঁদের মানা করবো না।"
মমতা বলেন, "শরীর ভাল না। হাঁটতে পারছি না। আগে মতো সভা করতে পারছি না। ৩ - ৪টের বেশি সভা করতে পারছি না। তবে মানুষ এটা বুঝলেন। যেখানেই যাচ্ছি মা বোনেদের সমর্থন করছেন। যুব সম্প্রদায়ও সমর্থন করছেন।" একইসঙ্গে এদিন রাজ্যের সমস্ত সীমানা বন্ধ করে অবাধ ও স্বচ্ছ নির্বাচনের দাবিও তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত এবারের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজ্যে একের পরে এক বিজেপি নেতা নেত্রীর যাতায়াত লেগেই রয়েছে। মঙ্গলবারও রাজ্য সভা করেন জেপি নাডডা, রাজনাথ সিং ও যোগী আদিত্যনাথ। আসছেনও প্রধানমন্ত্রীও। অন্যদিকে বারেবারেই বিজেপির কেন্দ্রী নেতাদের 'বহিরাগত' বলে আখ্যা দিয়েছেন তৃণমূলের নেতানেত্রীরা। বিজেপি বাংলার কৃষ্টি সংস্কৃতি জানে না বলেই দাবি তৃণমূল শিবিরের। বারেবারেই তৃণমূল নেত্রীর মুখে শোনা গিয়েছে, "দিল্লি বাংলাকে শাসন করেব না। গুজরাট বাংলাকে শাসন করবে না। বাংলাই বাংলাকে শাসন করবে।" নির্বাচনকে মাথায় রেখে 'বাংলা নিজের মেয়েকেই চাই' স্লোগানও চালু করেছে তৃণমূল। এমনকি বুধবারই শালতোড়ায় তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কটাক্ষ করেছেন, "বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা বাংলায় ডেইলি প্যাসেঞ্জারের মতো যাতায়াত করছেন।"
এদিকে তৃণমূলের 'বহিরাগত' কটাক্ষের পালটা সমালোচনায় নেমেছে বিজেপিও। দেশের প্রধানমমন্ত্রী - স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে মমতা কীভাবে বহিরাগত বলছেন সেই প্রশ্নও তুলেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। সাম্প্রতিককালে আরও একধাপ এগিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নন্দীগ্রামে 'বহিরাগত' বল তোপ দেগেছেন শুভেন্দু অধিকারী। যার প্রেক্ষিতে মমতা পালটা প্রশ্ন তুলেছেন, তিনি বহিরাগত হলে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী কীভাবে হলেন? সেক্ষেত্রে এদিনের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের মমতা আরও একবার নিশানা করলেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।