পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুসারে হলদিয়ায় (Haldia) মহকুমা শাসকের দফতরে নন্দীগ্রাম (Nandigram) আসনের জন্য মনোনয়ন পেশ করলেন তৃণমূল (TMC) নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বুধবার মঞ্জুশ্রী মোড় থেকে রোড শো করে এসডিও-র দফতরে যান তৃণমূল নেত্রী। তাঁর সঙ্গে পা মেলান প্রচুর কর্মী সমর্থক। এরপর মহকুমা শাসকের দফতের প্রবেশ করে সমস্ত নিয়মাবলি মেনে মনোনয়ন পেশ করেন মমতা। এদিন মনোনয়নের সময় তাঁর পাশে দেখা যায় তৃণমূলের অপর শীর্ষ নেতা সুব্রত বক্সীকে। মনোনয়নপেশের পর মমতা বলেন, "আমার নমিনেশনে ৪ জন প্রস্তাবক। ভবানীপুরে একদিন বেরলে হয়ে যায়। আমি সবসময় নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সঙ্গে ছিলাম। মনে ইচ্ছে ছিল একবার নন্দীগ্রাম বা সিঙ্গুর থেকে দাঁড়াই। নন্দীগ্রাম শুধু একটা নাম নয়। নন্দীগ্রামের মানুষকে স্যালুট। নন্দীগ্রামের অপর নাম সংগ্রাম - সংগ্রাম। আমি আশাকরি নন্দীগ্রামের সবাই আমার ভোট দেবেন।"
মনোনয়ন পেশের আগে এদিন নন্দীগ্রামের হাজার বছরের পুরনো এক শিব মন্দিরে পুজো দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় তাঁর সঙ্গে দেখা যায় তৃণমূলের আরও এক নেত্রী দোলা সেনকে। মন্দিরে গিয়ে পুষ্পাঞ্জলি দিয়ে আরতি করেন মমতা। কথা বলেন পুরোহিতদের সঙ্গে। তারপরেই হলদিয়ায় পৌঁছান মমতা। আজ মমতা নন্দীগ্রামেই থাকবেন বলে জানা গেছে। সেক্ষেত্রে বিকেলেও বেশ কিছু জন সংযোগের কর্মসূচি রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
মঙ্গলবারই নন্দীগ্রামের পৌঁছান মমতা। কর্মীসভা থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ডাক দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রাম আন্দোলনের স্মৃতিচারণ করে মমতে বলেন, "কীভাবে মানুষের ওপর অত্যাচার হয় তখন দেখেছিলাম। গোটা বাংলা জুড়ে আন্দোলন করেছিলাম।" এরপর নাম না করে শুভেন্দুকে বিঁধে মমতা বলেন, "কেউ কেউ বলে বেরাচ্ছেন আমি নাকি বাইরের লোক। আমি বাইরের লোক হলে মুখ্যমন্ত্রী হলাম কীকরে। নিজেরা দিল্লি থেকে লোক নিয়ে আসছেন, আর আমায় বাইরের লোক বলছেন।" তিনি আরও বলেন, "যাঁরা হিন্দু - মসলিম করছেন তাঁদের বলে রাখি, আমিও হিন্দু ঘরের মেয়ে। আমার সঙ্গে হিন্দু কার্ড খেলতে যাবেন না।" এদিন মঞ্চে চণ্ডীপাঠও করেন মমতা। একই সঙ্গে ফের একবার তার মুখে শোনা যায় 'খেলা হবে' স্লোগান। মমতা বলেন, "এখানে পয়লা এপ্রিল ভোট, এইদিন ওদের এপ্রিল ফুল করে দেবেন। পয়লা এপ্রিল খেলা হবে।" সভার পরে একাধিক মন্দির ও একটি মাজারেও যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।